মহম্মদপুরে ৯ ও ভূঞাপুরে ৭ প্রার্থী জামানত হারালেন

প্রকাশ | ২৪ মে ২০২৪, ০০:০০

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
মাগুরার মহম্মদপুরে জামানত হারালেন ৯ প্রার্থী। গত ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংশোধিত বিধি অনুযায়ী প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। সেটা অর্জিত না হলে তিনি জামানত হারাবেন। সূত্রমতে, মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রদত্ত ভোট সংখ্যা ৯৬ হাজার ৬২৯। প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার ৫৩.২৮%। ওই হিসাব অনুযায়ী জামানত বাঁচাতে প্রতি প্রার্থীকে ১৪ হাজার ৪৯৪ দশমিক ৩৫ ভোট পেতে হবে। ভোটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সাত প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম হান্নান (৭,৫৬৫ ভোট), উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা. বেবী নাজনীন (৫,৯৩৯ ভোট), যুবলীগ নেতা কাজী আনিসুর রহমান তৈমূর (৮৭৭ ভোট) অধ্যক্ষ আবু আব্দুলস্নাহেল কাফী (৭২৪ ভোট) এবং দীঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর সাদিক (২৮৯ ভোট)। ভাইস চেয়ারম্যান প্রদত্ত মোট ভোটের সংখ্যা ৯৬ হাজার ৬২৯। প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার ৫৩.২৮%। ওই হিসাব অনুযায়ী জামানত বাঁচাতে প্রতি প্রার্থীকে ১৪ হাজার ৪৯৪ দশমিক ৩৫ ভোট পেতে হবে। ভোটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে দুইজন জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- মুজিবর রহমান (৩,৩১২ ভোট) এবং সাংবাদিক আশরাফুল আলম সাগর (২,৪১৩ ভোট)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রদত্ত মোট ভোটের সংখ্যা ৯৬ হাজার ৪৫৫। প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার ৫৩.১৮%। ওই হিসাব অনুযায়ী জামানত বাঁচাতে প্রতি প্রার্থীকে ১৪ হাজার ৪৬৮ দশমিক ২৫ ভোট পেতে হবে। উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে- মুনমুন খান (৯,২১৪ ভোট) এবং শিল্পী সামাদ (৫,৯৮২ ভোট) জামানত হারিয়েছেন। ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামানত হারালেন সাত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা পদে চারজন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। চেয়ারম্যান পদে ফিরোজ চৌধুরী পাঁচ হাজার ৮৩৯ ভোট পেয়ে জামানত ফেরত পেয়েছেন। তিনজন জামানত হারিয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা পদে দুইজন করে মোট চারজন জামানত হারান। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রদত্ত ভোট ৪১ হাজার ৪৫৯। সেই হিসাবে জামানত ফেরত পেতে প্রার্থীদের পাঁচ হাজার ১৮২ ভোট পেতে হবে। চেয়ারম্যান পদে বিএনপির বহিষ্কৃত সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, তিন হাজার ১০৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। জামানত হারানো চেয়ারম্যান প্রার্থী অপর দুইজন আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদু্যৎ ও তাহেরুল ইসলাম তোতা কৌশলগত কারণে আগেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তথাপি বিদু্যৎ ৪৫১ ও তোতা ১৮৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু ২৮ হাজার ৬২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আরিফুল হক আরজু ৯ হাজার ২৪১ ভোটে জামানত রক্ষা করেছেন। এক হাজার ১৭৬ ভোট পেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী খান এবং ৭৩২ ভোট পেয়ে খোরশেদ আলম জামানত হারিয়েছেন।