যশোরে 'সততা স্টোর' স্থাপনে ৩৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অর্থ প্রদান

প্রকাশ | ২৪ মে ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
যশোরে 'সততা স্টোর' স্থাপনে অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারসহ অতিথিরা -যাযাদি
নতুন প্রজন্মের মধ্যে সততা ও নিষ্ঠার জন্ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য 'সততা স্টোর' স্থাপন করতে যশোরের ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আট হাজার ৯৫০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ১৪ শিক্ষার্থীকে ছয় হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে যশোর জিলা স্কুল মিলনায়তনে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারসহ অতিথিরা এই অর্থ তুলে দেন। প্রধান অতিথি বলেন, শিশু যখন পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয় তখন সততা নিয়েই জন্মগ্রহণ করে। পরিবার তাদের সময় দেয় না। ফলে বাধ্য হয়ে তারা অন্য কোনো অবলম্বন বেছে নেয়। খারাপ সঙ্গে একপর্যায়ে অসৎ হয়ে ওঠে। ফলে পরিবার থেকেই সততার শিক্ষা দিতে হবে। 'সততা স্টোর' একটি পস্ন্যাটফর্ম। এটি একটি প্রতীক। নতুন প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা এবং অল্প বয়স থেকেই দুর্নীতিবিরোধী নৈতিকতায় উদ্বুব্ধ করার এই উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারে সততা স্টোর গড়ে তোলার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপ-পরিচালক মো. আল আমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ মলিস্নক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। দুর্নীতি দমন কমিশন ২০১৭ সালে সর্বপ্রথম সততা স্টোর ধারণার সূচনা করে। দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলোতে সততা স্টোর স্থাপনের জন্য কমিশন প্রতিবছর অর্থায়ন করে আসছে। দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, যশোরের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে যশোর ও নড়াইল জেলার মোট ২৪টি বিদ্যালয়ে সততা স্টোরের জন্য স্কুলপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ২৫০ বিদ্যালয়ের অনুকূলে মোট ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে যশোর জেলার ১৭৫টি স্কুল ও মাদ্রাসা রয়েছে। যশোর সদর উপজেলায় ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সাতটি উপজেলায় ২০টি করে মোট ১৪০টি প্রতিষ্ঠানে এই অর্থ বরাদ্দ হয়।