সীতাকুন্ডে প্রথমবার যান্ত্রিক পদ্ধতিতে আউশ ধানের চারা রোপণ

প্রকাশ | ২৪ মে ২০২৪, ০০:০০

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধানের চারা রোপণ করছেন কৃষক -যাযাদি
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ট্রে'র মাধ্যমে ২০ একর জমিতে হাইব্রিড ব্রি-ধান ৯৮ জাতের আউশ ধানের বীজতলা রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন থেকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যান্ত্রিক মেশিনের সাহায্যে আউশ চারা রোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন এ এলাকায় দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিপাস কান্তি চৌধুরী। তিনি জানান, টেরিয়াইল বস্নকে প্রথমবারের মতো ২০ একর জায়গায় সমলয়ে আউশ ধানের আবাদ শুরু করা হচ্ছে। শ্রমিকের মূল্য ও চাষাবাদে যে খরচ, সেটি অনেকাংশে কমানোই এর মূল উদ্দেশ্য। সমলয় চাষে শ্রমিক কম লাগে। বিশেষ করে আউশ মৌসুমে শ্রমিক সংকটে ভোগেন কৃষক। তাই সেই শ্রমিক সংকট কমানোর জন্যই সমলয়ে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ জানান, চলতি মৌসুমে আউশ ব্রি- ধান ৯৮ জাতের ধানের চারা রোপণ করা হচ্ছে। এ ধানের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে রোগবালাই সহনশীল এবং রোগবালাই নেই বললেই চলে। এরপর অতি সল্প সময়ে মাত্র ১১২ দিন পর জমি থেকে ফসল সংগ্রহ করবেন কৃষক। এতে খুবই কম খরচে ও কম সময়ে মেশিনের দ্বারা চারা রোপণ, ধান কাটা, মাড়াই ইত্যাদি কাজ হয়ে যায়। কৃষকরাও চায় তাদের ক্ষেতের ফসল কম সময়ে ঘরে উঠুক। এদিকে কৃষকরা জানান, যান্ত্রিক পদ্ধতিতে আউশের বীজতলা রোপণের বিষয়টি আর কখনো দেখেননি। সীতাকুন্ড কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ সংগ্রহ করে সবাই এক সঙ্গে সমলয়ে বীজতলা লাগিয়েছেন। ট্রেতে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চারা রোপণ, ধান মাড়াই, কর্তন করা গেলে কৃষকদের আর শ্রমিক সংকটের সমস্যা থাকবে না। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. হাবিবুলস্নাহ বলেন, সীতাকুন্ড উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খরিপ মৌসুমে আউশ ধানের সমলয়ে চাষাবাদ কার্যক্রম কৃষকদের আগ্রহী করার জন্যই শুরু হয়েছে। প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় সমলয়ে চাষাবাদে খরচ প্রায় অর্ধেক। যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করায় ধানের গোছায় শিষের সংখ্যা বেশি হয়। ফলে জমিতে ধানের তুলনামূলক বেশি হয়। সীতাকুন্ড উপজেলায় এ বছর প্রথমবারের মতো ২০ একর জমিতে সমলয়ে আউশ ধান উৎপাদন কার্যক্রম চালু থাকবে। তিনি আরও জানান, এ কার্যক্রমে প্রায় ৬০ জন কৃষক অন্তরভুক্ত রয়েছে। যাদের বীজ চারা উৎপাদনের ট্রে রাসায়নিক সার এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।