শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

আখাউড়ায় সরকারি স্কুলে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০
আখাউড়ায় সরকারি স্কুলে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। শ্রেণি শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম ছাত্রছাত্রীর স্কুল বন্ধের জরিমানার নামে জনপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি আদায় করেছেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে। এছাড়া সেশন ফি'র সঙ্গেও অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। কিন্তু এসব অর্থ আদায়ের কোনো রশিদ দেননি। এ পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। কয়েকজন ছাত্রছাত্রী প্রধান শিক্ষকের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দশম শ্রেণির শ্রেণিশিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম কয়েক দিন যাবত ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ৪ মাসের বকেয়া বেতন ও প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষার ফি বাবদ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা আদায় করছেন। কিন্তু মাসিক বেতন ২৮ টাকা হারে ৪ মাসের বেতন ও পরীক্ষা ফি ৩৫০ টাকাসহ বিদ্যালয়ের প্রাপ্য ৪৬২ টাকা। বিলম্ব ফি ১৮ টাকাসহ ধরলে মোট ৪৮০ টাকা হয়। এছাড়া যে সব শিক্ষার্থী জানুয়ারি মাসে সেশন ফি পরিশোধ করেনি তাদের কাছ থেকেও সেশন ফি'র সঙ্গে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাওয়ায় শিক্ষক বলছেন স্কুল বন্ধ করায় জরিমানা বাবদ বাড়তি টাকা নেওয়া হয়েছে। ওই শ্রেণিতে প্রায় ২শ' ছাত্রছাত্রী রয়েছে।

এক শিক্ষার্থীর মা বলেন, 'আমার মেয়ের ৩ মাসের বেতন বকেয়া ছিল। বকেয়া বেতন ও পরীক্ষার ফি বাবদ ৪৩৪ টাকা নেওয়ার কথা। কিন্তু আমার মেয়ের কাছ থেকে ৭০০ টাকা নিয়েছে এবং রসিদ দেয়নি।' অভিভাবক মোতাহার হোসেন বলেন, 'আমার মেয়ের কাছ থেকে ৭০০ টাকা নিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করায় শ্রেণি শিক্ষক জানিয়েছেন, আমার মেয়ে ২৩ দিন স্কুল বন্ধ করেছে। কিন্তু আমার মেয়ে এতদিন স্কুল বন্ধ করেনি। স্কুল বন্ধ করার জন্য জরিমানা দিতে হবে একথা আমাদের আগে জানানো হয়নি।'

অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, 'বিদ্যালয় বন্ধ করার জন্য দৈনিক ১০ টাকা করে জরিমানা নেওয়া হয়েছে। যারা রসিদ চেয়েছে তাদের দিয়েছি।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'কয়েকজন শিক্ষার্থী আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। স্কুল বন্ধের জন্য জরিমানা নেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে