শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

ভোটে হেরে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রোজ!

পাবনা প্রতিনিধি
  ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০
ভোটে হেরে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রোজ!

সদ্য-সমাপ্ত ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটে হেরে গিয়ে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পাবনার ভাগুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম মেছবাহুর রহমান রোজ। তিনি জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি।

ফলাফল ঘোষণার পর 'রোজ মেছবাহুর রহমান' নামে ফেসবুক আইডিতে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম মেছবাহুর রহমান ফলাফল ঘোষণার এক ঘণ্টা পর অর্থাৎ রাত পৌনে ৯টায় একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, 'ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে পরাজিতের অভিজ্ঞতা থেকে আগামী তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ, ইভিএম (ভুয়া) সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা, পদ্ধতি ও ক্ষমতাশালীদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে অনুরোধ করছি।'

তার ফেসবুক থেকে এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পরপর রাজনৈতিক অঙ্গনসহ নানা শ্রেণি ও মহলে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ওঠে সমালোচনার ঝড়। আওয়ামী লীগ তথা সরকারি দলের একজন সক্রিয় পদধারী নেতা হিসেবে সরকারের এমন উদ্যোগে বিরোধিতা করায় দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সুশীলসমাজের প্রতিনিধিরা ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এম মেছবাহুর রহমান বলেন, 'চারটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখেছি, নির্বাচনের সঙ্গে যুক্তরা সরাসরি ভোটারকে গোপনকক্ষে নিয়ে গিয়ে ভোট নিয়ে নিচ্ছেন। ইভিএম পদ্ধতিটা ভুয়া বলেই মনে হয়েছে। তাই পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীদের সতর্ক হতেই পোস্ট করেছি।'

সরকারি দলের একজন পদধারী নেতা হয়ে সরকারের নেওয়া আধুনিক ও যুগোপযোগী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, 'দীর্ঘদিন বিদেশে থেকেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত। আওয়ামী লীগ চুরি করবে, অন্যায় করবে, এটা মেনে নিতে পারব না।'

কোথায়ও কোনো অভিযোগ করেছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'জানি কোনো অভিযোগে প্রতিকার মিলবে না, তাই কোথাও কোনো অভিযোগ করিনি।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, 'ইভিএম পদ্ধতিটা স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। এখানে কারচুপি, অনিয়ম করার সুযোগ নেই। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে জনবিচ্ছিন্ন মানুষ হয়ে প্রতিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াটা তার নেশায় পরিণত হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের দলীয় নেতা হয়ে সরকার তথা দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বা কটূক্তি করাটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।'

রিটার্নিং অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফ আহমেদ বলেন, 'আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। কেউ অভিযোগ দিলে খতিয়ে দেখে কমিশনের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে