'নির্বাচনের টাকা বাতাসে উড়ছে যে যেভাবে পার ধরে নাও'

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০

আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
তৃতীয় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো কোনো প্রার্থী অবৈধ নগদ টাকা ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। মানুষের মুখে সুর উঠেছে 'নির্বাচনের টাকা বাতাসে উড়ছে যে যেভাবে পার ধরে নাও।' এখানকার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ দলীয় দুই প্রার্থী তানভীর ইসলাম (মোটর সাইকেল) ও সাইফুল ইসলাম কামালের (ঘোড়া) মধ্যে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় প্রার্থী প্রতিদিন উঠান বৈঠক, মিছিল, মাইকিং ছাড়াও দ্বারে দ্বারে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়াও উভয় প্রার্থী সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করছেন। এই সুযোগে টাকা ছাড়ানোর অভিযোগ উঠছে। রাতের অন্ধকারে দুই একজন কর্মী সমর্থক নিয়ে ভোট চাওয়ার নামে গরিব অসহায় ভোটারদের হাতে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা ধরিয়ে দিচ্ছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকাও দিচ্ছেন। এতে কিছুটা সুফলও পাচ্ছেন। এসবই চলছে সাহায্যের নামে। এ ছাড়া উভয় প্রার্থীর পক্ষে পাড়া ও গ্রামভিত্তিক নির্বাচনী ক্যাম্পে চলছে ব্যাপক খরচ ও টাকার ছড়াছড়ি। অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা আছে। প্রচার প্রচারণায় এবং আঞ্চলিকতার দিক থেকে আব্দুল গাফফার (টিউবয়েল), ইকবাল হোসেন (মাইক) ও মইদুল ইসলাম (চশমা) এগিয়ে আছেন। কোনো কোনো ভাইস চেয়ারম্যানও অবস্থা বুঝে কোনো কোনো ভোটারকে সাধ্যমতো নগদ টাকা সাহায্যের নামের দিচ্ছেন বলে প্রকাশ। এছাড়াও ৮ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে একাধিক প্রার্থীর বেশ কিছু মহিলা কর্মী পাড়ার পাড়ায় ভোট চাচ্ছেন। অনেকের ধারণা, এসব মহিলাকর্মীর মাধ্যমে গোপনে নগদ টাকা দেওয়ার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জনের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে। এ তিন পদের ১৫ প্রার্থীর প্রচারণা যেমন তুঙ্গে, তেমনি ভোটারদের খুশি করতে গোপনে সাহায্যের নামে নগদ টাকা ছড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে যে 'নির্বাচনে টাকা বাতাসে ছড়াচ্ছে যে যেভাবে পার ধরে নাও।' আবু বকর নামে এক ভোটার জানান, 'একজন মহিলা প্রার্থী (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য ২০০ টাকা দিয়ে গেছেন।'