শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

কয়রায় ঘূর্ণিঝড় 'রিমেল' মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
  ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০
কয়রায় ঘূর্ণিঝড় 'রিমেল' মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি

উপকূলীয় জনপদ খুলনার কয়রায় ঘূর্ণিঝড় রিমেল মোকাবিলায় সাত ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমেল মোকাবিলা করার জন্য উপজেলার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে কর্মস্থল ত্যাগ না করতে বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। কেন্দ্রগুলোতে ৩২ হাজার ৫শ' মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। ঘূর্ণিঝড় রিমেল মোকাবিলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি ভবনগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গৃহপালিত প্রাণীর জন্যও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্যোগের খবর আদান-প্রদানের জন্য উপজেলা পরিষদে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. রেজাউল করিম জানান, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য ৭ ইউনিয়নের জন্য ৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সেন্টালি হাসপাতালের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে একটি মেডিকেল টিম। প্রস্তুত রয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি)সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

উপজেলা সিপিপির টিম লেডার জিএম আব্দুল্যাহ আল মামুন লাভলু বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে সাত ইউনিয়নে ১৪৬০ জন ভলেন্টিয়ার স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৭৩০ ও নারী ৭৩০ জন।

২ নম্বর কয়রা গ্রামের আক্তারুজ্জামান খোকন বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, আম্ফান ও সিত্রাংয়ের আতঙ্ক কেটে গেলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আতঙ্ক কাটেনি উপকূলীয় জনপদ কয়রাবাসীর। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। নদী ভাঙন, জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেই বসবাস করছি।'

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মামুনার রশীদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস বা যে কোনো দুর্যোগের সময় মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান কারীদের খাদ্য, পানি ও বিদু্যৎ সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে সে জন্য উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিএম তারিক উজ জামান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতর্কতামূলক প্রচার করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগের সময় আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের খাদ্য সরবরাহ এবং চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখ ভালো করার জন্য এবং খবরা-খবর আদান প্রদানের জন্য প্রতি ইউনিয়নে ১জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে