শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

কোরবানির পশু প্রস্তুত ও পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা

প্রাকৃতিক খাদ্যেই হচ্ছে মোটাতাজা
স্বদেশ ডেস্ক
  ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০
কোরবানির পশু প্রস্তুত ও পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা

মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব আসন্ন ঈদুল আজহা ঘিরে কোরবানির পশু প্রস্তুত ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। কোনো রকম রাসায়নিক খাবারের পরিবর্তে খামারের পশুগুলোকে প্রাকৃতিক খাবার ভুসি, খৈল ও ঘাস খাইয়েই মোটাতাজা করা হচ্ছে বলে তারা দাবি করেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট-

সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে আমাদের প্রতিনিধি আবু বিন আজাদ জানিয়েছেন, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় খামারি ও পশু পালনকারিরা চলতি বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন প্রায় সাড়ে আট হাজার পশু। গত বছরের চেয়ে এবার দুই হাজারেরও বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা।

সৈয়দপুর প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রানুযায়ী, চলতি বছর এই উপজেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ছয় হাজারের মতো। কিন্তু খামারিরা প্রস্তুত করেছেন প্রায় সাড়ে আট হাজারের মতো পশু, যা চাহিদার চেয়ে দুই হাজারেরও বেশি। তাই, এবার উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে সৈয়দপুরের খামারিদের প্রস্তুত করা পশু সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

সূত্রটি আরও জানায়, সৈয়দপুর উপজেলায় নিবন্ধিত গরুর খামার রয়েছে ৭টি, ছাগল ও ভেড়ার খামার রয়েছে ৩টি। অনিবন্ধিত গরু ও ছাগলের খামার রয়েছে অগণিত। কারণ, শহরসহ উপজেলার গ্রাম-গঞ্জে প্রায় বাড়িতেই রয়েছে ৮-১০টি বা ২০-২৫টি করে বিক্রির উপযুক্ত গরু ও ছাগল।

খামারিরা জানান, কয়েকদিন পরই পুরোদমে শুরু হবে কোরবানির পশু কেনা-বেচা। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। যে পরিমাণ দেশি গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে, এগুলো দিয়েই সৈয়দপুর তথা নীলফামারী জেলার মানুষের কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। খামারিরা আরও জানান, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পর্যাপ্ত দেশি জাতের গরু ও ছাগল পালন করা হয়েছে। গরুকে খাবার হিসেবে কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুট্টা এবং ধানের কুড়াসহ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তবে পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেকটা বেড়েছে। একই সঙ্গে চোরাইপথে যাতে ভারতীয় পশু ঢুকতে না পারে সেদিকে নজর রাখার দাবি জানান তারা।

কয়েকটি খামারে গিয়ে দেখা গেছে, গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারের লোকজন। পৃথক পৃথক খাটালে দেশি জাতের গরু ও ছাগলের পরিচর্যা করা হচ্ছে। খামার মালিকরা জানান, তাদের খামারে কোরবানির জন্য বেশিরভাগ দেশি প্রজাতির গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। গরুগুলোর দামও ৬০ হাজার থেকে চার লাখ টাকা।

খামারিরা অভিযোগ করে জানান, পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু ও ছাগল পালনে খরচ অনেক বেড়েছে। গরুগুলোকে প্রতিদিন দুইবেলা প্রাকৃতিক খাদ্য- যেমন ভুট্টা, খৈল, ব্রান্ড, কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি ও খড় খাওয়ানো হয়। গোসল করানো হয় প্রায় প্রতিদিনই। পশুর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখা হয় প্রতিনিয়ত। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক ফ্যান চালিয়ে পরিবেশ ঠিক রাখা হয়।

সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় জানান, গরুকে দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর জন্য খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভিটামিন খাওয়াতেও বলা হচ্ছে খামারিদের। এ ছাড়া গরুকে নিষিদ্ধ কোনো রাসায়নিক ও হরমোন ওষুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি জানান, পাহাড়ে ঘাস, লতাপাতা, সাইলেজ ও ভুট্টাসহ প্রাকৃতিক খাবার আর সেবাযত্নে বেড়ে উঠছে কোরবানি পশু। দেশি জাতের লাল গরুর পাশাপাশি প্রাকৃতিক খাবারনির্ভর এখানকার শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান গরু। চাহিদা সমতলে বেশি হওয়ায় খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় আসন্ন কোরবানির হাটে বেচাকেনার জন্য আড়াই হাজার গরু, ছাগল সেবাযত্নে ব্যস্ত দেড়শ' খামারি। তবে ছোট ও মাঝারি খামারগুলোতে পালন করা হচ্ছে বড় আকারের গরু। বাজারে গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে লাভ কম!

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও খামার ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলায় ছোট, মাঝারি ও বড় ১৫০ গরু ও ছাগল খামারে এবার কোরবানি উপযোগী গরু, ছাগল রয়েছে ২৬১০টি। তবে ছোট ও মাঝারি খামারে মধ্যমসারির ষাঁড় বেশি। বড় গরু হাতেগোনা। প্রাকৃতিক ঘাস, লতাপাতা, সাইলেজ, ভুট্টা ভাংগা খাদ্যে বেড়ে ওঠা এসব গরু ও ছাগলের মাংস স্বাদ হওয়ায় সমতলের কোরবানিদাতারা পাহাড়ের গবাদিপশুর প্রতি আকষর্ণ বেশি। ফলে এই জনপদের খামারিরা প্রতি কোরবানিতে কয়েক কোটি টাকার গরু-ছাগল বিক্রি করে স্বাবলম্বী হন।

উপজেলার গচ্ছাবিল এলাকার জাবের হোসেন সোহাগের পারিবারিক ছোট একটি খামারে গিয়ে দেখা গেছে, গাভি, বাছুরের পাশাপাশি কোরবানি উপযোগী একটি ফ্রিজিয়ান ষাঁড় রয়েছে। নাম রাখা হয়েছে 'রাজা বাবু'। গায়ের রং কালো। ওজন আনুমানিক ১৪-১৫ মণ। দাম হাঁকা হয়েছে সাড়ে ৬ লাখ টাকা।

একসত্যাপাড়া আনোয়ার হোসেনের মাঝারি খামারে শাহীওয়াল জাতের গরু রয়েছে ১৫টি। মালিক জানান, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সবুজ ঘাস, সাইলেজ ও ভুট্টা ছাড়া আর কোনো খাদ্য গরুর সামনে দেওয়া হয় না। গত বছর ঠিক এই সময় শাহীওয়াল গরুগুলো গড়ে এক লাখ টাকায় কিনে লালন-পালন করা হচ্ছে। প্রতিটি গরুর গড় মূল্য চাইছেন তিন লাখ টাকা। ইতোমধ্যে একাধিক ব্যবসায়ী দুই লাখ টাকা করে বলেছেন।

একই গ্রামের কামাল হোসেন গত ৭-৮ বছর ধরে কোরবানির গরু মোটাতাজা ও বাজারজাতে বেশ সুনাম কুঁড়িয়েছেন। এবার তিনি ১৪টি দেশি, শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান ষাঁড় বড় করছেন। তিনি বলেন, 'আমি প্রাকৃতিক ঘাস ও সাইলেজ খাইয়ে গরু মোটাতাজা করে থাকি। ইতোমধ্যে শহরের অনেক পাইকার গরুর খোঁজ নেওয়া শুরু করেছেন। আশা করি, এবারও ঘরে রেখেই গরু বিক্রি করব।' আরেক ক্ষুদ্র খামারি আনোয়ার হোসেন আনু তার ঘরে ৫টি সুঠাম শাহীওয়াল ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন। উপজেলার বড় ইকবাল ডেইরি ফার্মে এবার অনেক আগ থেকে ৫০০ টাকা লাইফ ওয়েট পদ্ধতিতে নানা জাতের গরু বিক্রি চলছে।

ম্যানেজার একরামুল করিম বলেন, ইতোমধ্যে শতাধিক শাহীওয়াল ও ফ্রিজিয়ান ষাঁড় বিক্রি হয়ে গেছে। আর ২৫-৩০টি ষাঁড় আছে। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, গত ৩-৪ বছর ধরে বাজারে গো-খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে খামারিরা লোকসানের শিকার হচ্ছেন। যাদের নিজস্ব ঘাস, ভুট্টা চাষ আছে, তারাই কেবল লাভবান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, পাহাড়ে প্রাকৃতিক খাদ্যে গরু লালন-পালন করার সুযোগ রয়েছে। তা না হলে গো-খাদ্যের আকাশচুম্বী মূল্যে গরু পালন কষ্টসাধ্য! এবার উপজেলার ছোট, মাঝারি ও বড় দেড়শ' খামারে ২৬১০টি গরু-ছাগল কোরবানির উপযোগী। নিয়মিত খামার নজরদারিসহ রোগমুক্ত পশু বাজারজাতে আমরা খামারিদের পাশে আছি।

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) থেকে আমাদের প্রতিনিধি হারুনুর রশিদ জানান, বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা চরের প্রায় বাড়িতেই প্রস্তুত হয়েছে কোরবানির দেশি গরু। কোনো বাড়িতে রয়েছে ১৫-২০টি করে গরু। গরু পালন করে ভাগ্য ফিরেছে অনেকের।

বগুড়া সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলের কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলানোর পাশাপাশি গরু-ছাগল পালন করেন। এই দৃশ্য পুরো চরজুড়েই। চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, সেখানে প্রতিটি বাড়ির আঙিনার গরুর গোড়ায় ৫ থেকে শুরু করে ৩০টি পর্যন্ত গরু। আর এসব গরুর মধ্যে প্রতিটি পরিবারেই প্রস্তুত রয়েছে কোরবানির গরু। কেউ কেউ আবার গত কয়েক মাস আগে কোরবানির জন্য গরু কিনেছেন। সেই গরুগুলো মোটাতাজা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন। গরু পালনের ক্ষেত্রে বাড়ির নারীরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেন। খুব সকালে গরুকে গোয়াল ঘর থেকে বের করা, সকাল-বিকাল দুইবেলা গরুকে খুঁদ গুঁড়া ভুষি দিয়ে পানি খাওয়ানো, গোয়ালঘর থেকে গোবর বের করে তা পরিষ্কার করা, দুপুরে গরুকে গোসল করানো এবং সারাদিন গরুকে ঘাস ও খড় খাওয়ানোর কাজ বাড়ির নারীরাই করে থাকেন। চরাঞ্চলের পুরুষরা সারাদিন মাঠে ফসলের যত্ন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তবে ফসলের কাজের ফাঁকে তারা গরুর জন্য ঘাস কাটেন। সেই ঘাস তারা গরুকে সারাদিন খাওয়ান। চরাঞ্চলে গরু পালনে সাধারণত খুবই কম খরচ হয়। এখানে গরু পালনে ঘাস কেনার কোনো প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র কুড়া এবং খুঁদ ভুষি ক্রয় করলেই চলে। কেউ কেউ গরুকে দলবদ্ধভাবে যমুনাচরের বিস্তীর্ণ চারণভূমিতে নিয়ে আসেন। সেখানে সারাদিন গরু কাঁচা ঘাস খেয়েই পেট ভরে ফেলে।

সরেজমিন উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া চরে দেখা যায়, সেখানে প্রতিটি বাড়িতেই কোরবানির জন্য দেশি গরু প্রস্তুত রয়েছে। এখানে গরুর মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেখানে দেড় লাখ টাকা থেকে শুরু করে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত কোরবানির ষাঁড় গরু প্রস্তুত রয়েছে। এই গ্রামের লিটন বেপারির স্ত্রী শিউলি বেগমের ১৪টি গরুর মধ্যে ৫টি কোরবানির জন্য প্রস্তুত। এ ছাড়া সিদ্দিক বেপারির ছেলে তারেক মাহমুদের ৫টি, লতিফুর রহমানের স্ত্রী শিউলি বেগমের ৭টি, সিরাজ বেপারির ছেলে জহুরুল বেপারির ২০টির মধ্যে ৯টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

জহুরুল বেপারি জানান, কোরবানির জন্য এই গ্রামে তাদের ৫ ট্রাক গরু প্রস্তুত রয়েছে। গরুগুলো তারা চট্টগ্রামে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। চালুয়াবাড়ী সুজালির পাড়া চরের রিপন মিয়া জানান, তার গোয়ালে ৫৫টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি ষাঁড় গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত।

সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এবং ভেটেরিনারি হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পুরো উপজেলায় ২১ হাজার ৭২৪টি গরু, ৪০ হাজার ৯৯৩টি ছাগল, ২৮৯৫টি ভেড়া এবং ৮৮৬টি মহিষ কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহ আলম বলেন, এই উপজেলায় যেসব কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে, তা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে কয়েকগুণ বেশি পশু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হবে। পুরো উপজেলায় যেসব কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে, এর সিংহভাগই চরাঞ্চলে রয়েছে।

নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে হাওড় অধু্যষিত উপজেলা নিকলীতে জমে উঠেছে পশুর হাট। উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর গরুর বাজারে ক্রেতা ও পাইকারদের অনেক ভিড় দেখা গেছে। এ বাজারে গরু, ছাগল ও মহিষের দাম অনেক চড়া।

বুধবার বিকেলে সাজনপুর গরুর বাজারে সরেজিমন গিয়ে দেখা গেছে, বড় গরুর দাম ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মাঝারি গরুর দাম ৭০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ও ছোট গরুর দাম ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা। মহিষের দাম ১ লাখ টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ও ছাগলের দাম কয়েকটি হাটের তুলনায় অনেক বেশি বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন। এবছর গরুর বাজারটি ইজারার মূল্য ৪১ লাখ টাকারও বেশি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে গরুর ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুইট ৫০০ টাকা।

গরুর বাজারের ইজারাদার আলম মিয়া জানান, আগে গরুর বাজারে অনেক লাভ হতো। বর্তমানে ইজারার বাৎসরিক মূল্য বেশি হওয়ার কারণে পূর্বের তুলনায় লাভ কমে আসতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে