সব শর্ত পূরণের পরও এমপিওভুক্ত হয়নি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের পিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয়। যার কারণে বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। ২০০৩ সালে পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়ন এলাকায় গড়ে উঠা এই বিদ্যালয়টির ইআই আই ইআইআইএন নং-১৩৭৭৭৯, হাই স্কুল কোড-৯২০৭। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে ১৫ জন। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তাদের করতে হচ্ছে মানবেতর জীবনযাপন।
জানা গেছে, পিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা-২৭৮ জন। জেএসসি-৪৮ জন। পাসের হার-১০০%। এসএসসি ২৫ জন। পাসের হার ৭০%। ষষ্ঠ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন-৪৪ জন। ২০২১ সালের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী সব শর্ত পূরণ আছে এবং এমপিওভুক্তির আবেদিত স্তর-নিম্ন মাধ্যমিক। অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ দান অনুমোদন আছে। নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের অনুমোদন ১/১০/২০১৫। আইসিটি অনুমোদন ১/১০/২০১৬। মাধ্যমিক পর্যায়ের অনুমোদন ১/১০/২০১৯। একাডেমিক স্বীকৃতি ০১/০১/২০২৩। গত বছর এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ৫ ছিল।
বিদ্যালয়টি পার্বতীপুরের হাবড়া ইউনিয়নের পিরোজপুর মৌজার ১ একর ৩ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানকার পিছিয়ে পড়া এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাফি সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই গ্রামে সরকারি সব শর্ত পূরুণ করে প্রাইমারি এবং হাইস্কুল গড়ে তুলে বিনা বেতনে পাঠ দান করান। প্রতি বছর এই এলাকা থেকে ৪০-৫০ জন ছেলে মেয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য কলেজে ভর্তি হয়। বৃষ্টির কারণে বিদ্যালয়ের ১৫ কক্ষের মধ্যে ৯টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর্থিক দৈন্যতার কারণে সেগুলো সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাফি বলেন, বিদ্যালয় এমপিওভুক্তির সব শর্ত পূরণ করা হলেও আজও বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়নি।