শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

সারিয়াকান্দিতে রাস্তার পাশে বিষাক্ত পার্থেনিয়ার গাছে ফুল

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ২২ মে ২০২৪, ০০:০০
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে রাস্তার পাশে ফুটে থাকা বিষাক্ত 'পার্থেনিয়ার ফুল' -যাযাদি

রাস্তার দুই ধারে কিংবা বাড়ির আনাচে-কানাচে ও ক্ষেতের পাশে সবুজ ঝোঁপে প্রায়ই দেখা যায় গাজা গাছের মতো দেখতে বিষাক্ত 'পার্থেনিয়াম গাছ'। ঝাঁকড়া হয়ে ওঠা এই গাছগুলোতে যখন সাদা ছোট ফুল ফোটে, তখন বেশ ভালোই লাগে। তবে চিকিৎসক ও পরিবেশবিদদের মতে এই পার্থেনিয়াম গাছ খুবই বিষাক্ত। বিশেষ করে যখন ফুল ফোটে তখন পার্থেনিয়াম গাছ মানুষ ও গবাদি পশুর জন্য হয়ে ওঠে মারাত্মক ক্ষতিকর।

বিষাক্ত এই গাছ থেকে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগ। এই গাছের পাতা দেখতে অনেকটা গাজার গাছের মতো। স্থানীয় মানুষ একে ঝাও ফুল আবার 'গাঁজার গাছ' বলেও চেনেন। গাছগুলো সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ ফুট লম্বা। ছোট ছোট ফুল দেখতে বেশ সুন্দর। যে গাছটি মানুষ, গবাদি পশু ও ফসলের ক্ষতি করতে পারে। অথচ স্থানীয় মানুষ কিংবা কৃষকদের বিশেষ কোনো ধারণা নেই এই আগাছা সম্বন্ধে।

সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকের ধানক্ষেত, মরিচক্ষেতসহ কাঁচা-পাকা রাস্তার দুই ধারে শোভা ছড়াচ্ছে বিষাক্ত এই পার্থেনিয়াম গাছ। গ্রামের কেউ কেউ রাস্তার ধারে পার্থেনিয়াম গাছের মধ্যেই ছাগল বেঁধে রেখেছেন। আবার কৃষকরা ধানের আইলে গাছটি কেটে দেওয়ার পরও আরও বেশি সতেজ হয়ে বেড়ে উঠছে। ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা শ্রমিকরা রাস্তায় থাকা আগাছা ভেবে পরিষ্কার করছেন অসচেতনভাবে। তারা জানেন না ক্ষতিকর পার্থেনিয়াম সম্পর্কে।

জানা গেছে, পার্থেনিয়াম একটি উদ্ভিদ জাতীয় গাছ। যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে এটি বাঁচতে সক্ষম। বিশেষ করে ফসলের ক্ষেত কিংবা রাস্তার দুইধারে এ আগাছাটি বেশি জন্মে। খুব সহজেই প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এটি উপমহাদেশীয় অঞ্চলের নিজস্ব উদ্ভিদ নয়। প্রতিবেশী দেশ থেকে দানাদার খাদ্য কিংবা গরুর খুরের মাধ্যমে বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশের ভূখন্ডে এটি বেশি নজরে পড়ে সীমান্তবর্তী জেলার রাস্তার দু'ধারে। বর্তমানে বিভিন্ন জেলাতে রাস্তার দু'ধারে এবং ফসলের ক্ষেতেও ছড়িয়ে রয়েছে।

অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, এ আগাছাটি তেমন ক্ষতিকর নয়। বরং এটি একটি উপকারী আগাছা মাজরা পোকা লাগলে এই গাছ ফসলের উপকার করে। এ জন্য এ আগাছা ফসলের কোনো ক্ষতি করে না। বরং এটা কৃষকের জন্য উপকারী।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হালিম বলেন, আমার জানা মতে সারিয়াকান্দিতে এই আগাছা অত বেশি নেই। যদি বেশি দেখা যায় তাহলে কীটনাশক দিয়ে এগুলো নষ্ট করা যাবে। এছাড়াও সারিয়াকান্দি কৃষি অফিস কর্তৃক লিফলেট বিতরণ, প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে কৃষকদের অবহিত করা এবং আগাছাটি নিধনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে