আড়াইহাজারে ১০ বছরেও শেষ হয়নি ১১ কি.মি. সড়কের সংস্কার কাজ

মির্জাগঞ্জে বাঁশের সাঁকোই গ্রামবাসীর একমাত্র ভরসা

প্রকাশ | ২২ মে ২০২৪, ০০:০০

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আড়াইহাজার উপজেলা সদর থেকে জাঙ্গালিয়া সড়কের ১১ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ হয়নি দীর্ঘ ১০ বছরেও। স্থানীয় সরকারের আওতাধীন আড়াইহাজার জিসি-উচিতপুরা জিসি ভায়া ইলমদী-জাঙ্গালিয়া বাজার নামে সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় লাখ লাখ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় সরকারের আওতাধীন আড়াইহাজার-জাঙ্গালিয়া সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় জাঙ্গালীয়া-আড়াইহাজার সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ১০ বছর ধরে এই অবস্থায় চলাচল করছে আড়াইহাজার উপজেলার ৪টি ও সোনারগাঁও উপজেলার দুই ইউনিয়নের লোকজন এবং পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন। পরপর তিনবার পৃথক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তাটির টেন্ডার নিয়ে কাজ শুরু করলেও বিভিন্ন কারণে সম্পন্ন হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কয়েকদিন কাজ করার পর অজ্ঞাত কারণে কাজ ফেলে চলে যায়। প্রকৃত পক্ষে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ কত সালে শুরু হয়েছে তা জানাতে পারেনি উপজেলা প্রকৌশল অফিস। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী জানায় ২০১৪ সাল থেকে রাস্তা সংস্কারের কাজটি হাতে নেওয়া হয়। সূত্র জানায়, জাঙ্গালীয়া বাজার থেকে আড়াইহাজার পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার। আড়াইহাজারের খাগকান্দা, উচিতপুরা, কালাপাহাড়িয়া ও হাইজাদী ইউনিয়নের যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন এই সড়ক দিয়ে সহজে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে। তা ছাড়া পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁও উপজেলার দুটি ইউনিয়নের লোকজন ও এ সড়ক দিয়ে আড়াইহাজারে যাতায়াত করে থাকেন। সড়কটির ১১ কিলোমিটার বর্তমানে চলাচলের প্রায় অনুপযোগী। যদিও ১০ বছরে এ সড়কের প্রধান প্রধান মোড় ও বাজারগুলোতে প্রায় ২ কি. মি রাস্তার সিসি ঢালাইয়ের কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু সড়কের প্রধান কাজই সম্পন্ন করতে পারেনি। স্থানীয়রা উপজেলা প্রকৌশলী অফিসকে এ ভোগান্তির জন্য দায়ী করেছেন। উচিতপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন জানান, ২০১৯ সাল থেকে রাস্তাটি ভেঙে একেবারে জরাজীর্ণ অবস্থায় পতিত হয়েছে। বর্তমানে নতুন একজন ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করি কাজ শিগগিরই শেষ করতে পারবে। আড়াইহাজার উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, 'আমরা রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ না করায় টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে কয়েকবার। আশা করি ৪-৫ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব।' স্থানীয় সরকারের নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসাদোজ্জামান জানান, এ কাজের জন্য নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রম্নত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে একটি সেতুর অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এর ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসী। উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘটকের আন্দুয়া গ্রামের আজিমুদ্দীন মৌলভীবাড়ির সামনে কপালভেড়া ভারানির খালের ওপর সেতু না থাকায় এ দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। যুগের স্রোতে বিভিন্ন জনপদের চেহারা পাল্টালেও ওই স্থানে নির্মাণ হয়নি কোনো ব্রিজ। একটি সেতুর জন্য দ্বিখন্ডিত হয়ে আছে গ্রাম এবং গ্রামের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে বর্ষার সময় সাঁকো দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণকে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. সিদ্দিক, মজিবর ও নয়ন বলেন, এখানে ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় শিক্ষা, চিকিৎসা ও কৃষিক্ষেত্রেও গ্রামের লোকজনকে নানা সমস্যায় পরতে হচ্ছে। এ নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, কৃষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, হাট-বাজারের লোকজন পারাপার হচ্ছে। তবে এখানে একটি ব্রিজ নির্মিত হলে এ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হতো। স্থানীয় ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেন বলেন, 'এই সাঁকো দিয়ে দিনের পর দিন ঝুঁকি নিয়ে গ্রামবাসী চলাচল করছে। এখানে একটি ব্রিজের ব্যবস্থা করলে তাদের দীর্ঘ বছরের দুঃখ লাঘব হবে। এই খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।' মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বাদশাহ বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ব্রিজ নির্মাণের জন্য তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।