পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, 'অর্থ পাচার ঠেকাতে উচ্চতর প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। উচ্চতর প্রশিক্ষণই পারে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও বিট কয়েনসহ অন্যান্য ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার ঠেকাতে।'
সোমবার সিআইডি সদর দপ্তরে 'সিকিউরিং ডিজিটাল অ্যাসেটস : মেলওয়্যার এনালাইসিসি, হ্যাকিং টেকনিকস অ্যান্ড ক্রিপ্টো প্রটেকশন' শীর্ষক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিআইডি প্রধান আরও বলেন, 'বিশ্বে প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের ফলে মানুষ এর ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। দৈনন্দিন সব কাজই কোনো না কোনোভাবে তথ্যপ্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। এতে করে সুবিধা যেমন আছে, ঝুঁকিও আছে। মুহূর্তের মধ্যেই ডিজিটাল ডিভাইসে রাখা ব্যক্তিগত তথ্য, ফাইল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা তথ্য ব্যবহার করতে পারছে।'
সিআইডি প্রধান বলেন, 'সাইবার হ্যাকার ও অপরাধীরা এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে সাইবার প্রতারণা, অর্থ লোপাট, সাইবার অ্যাটাক, পর্নোগ্রাফি, হ্যাকিং, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, ডেটা ব্রিচ ও সাইবার বুলিংসহ নানা ধরনের অপরাধ করছে। এ ধরনের সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সিআইডির সাইবার বিভাগসহ অন্যান্য ইউনিটগুলো কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য সাইবার বিভাগে কাজ করা সদস্যদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য এসব সেক্টরে কাজ করা সদস্যদের দেশে-বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টি এখন সময়ে দাবি।'
কর্মশালায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ। কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট মো. মেহেদী হাসান, অক্টাগ্রাম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাইবার স্পেশালিস্ট মো. হাসান শাহরিয়ার ফাহিম। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন সিআইডির ডিআইজি (এইচআরএম ও ঢাকা মেট্রো) মো. মাইনুল হাসান ও অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। কর্মশালায় শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী অংশ নিয়েছিলেন।