চাঁদপুরে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির পর টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা এবং তর্কের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের পর অবশেষে সেই নৌ-পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেনকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে আরও তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।
গত রোববার চাঁদপুরের নীলকমল নৌফাঁড়ি থেকে জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। তিনি ওই ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
তিনি জানান, নীলকমল নৌফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। তার এমন অনৈতিক কাজে পুলিশ বাহিনী কোনো অবস্থায় দায় নেবে না। তাই তাকে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।
এর আগে নদীতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির টাকা তোলা এবং সেই টাকার ভাগাভাগি নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা এবং তর্কে জড়িয়েছেন। এমন একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে জেলেদের কাছ থেকে উঠানো টাকার কে কত পাবে, তা নিয়ে তর্কাতর্কি করেন উপস্থিত অন্যদের সঙ্গে ওই জাহাঙ্গীর হোসেন।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, এরই মধ্যে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহম্মেদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরেজমিনে তদন্ত করে তার প্রতিবেদনও দ্রম্নত সময়ের মধ্যে নৌপুলিশ হেডকোয়ার্টারে জমা দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জাহাঙ্গীর হোসেন ক্লোজড হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার বিষয়ে আরও পদক্ষেপ নেবে।