ভোটদানে বাধা এলে ৯৯৯ এ ফোন করুন, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন
প্রকাশ | ২০ মে ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে যশোরের তিন উপজেলায় অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। নির্বাচনের ভোটগ্রহণে কোথাও বাধা দান বা সুষ্ঠু পরিবেশের বিঘ্ন ঘটালে কঠোরভাবে দমন করা হবে। এজন্য ভোটপ্রদানে বাধা দান ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ঘটনা ঘটলে জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নাম্বার ৯৯৯ এ ফোন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। রোববার ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের (২য় ধাপ) প্রেস ব্রিফিংকালে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার এই আহ্বান জানান। যশোর কালেক্টরেট ভবনের অমিত্রাক্ষর মিলনায়তনে রোববার বেলা ১১টার দিকে এই প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেস ব্রিফিংকালে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, 'আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলার পরিষদ যশোরের তিন উপজেলার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই তিন উপজেলা শার্শা, ঝিকরগাছা ও চৌগাছায় ভোটারদের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। পুলিশ, বিজিবি, আনসার, র?্যাব সদস্যরা ভোটারদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।'
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, 'আমাদের সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। গোয়েন্দা নজরদারির বাহিরে যদি কেউ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা প্রদান করে বা ভোটের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা করে তাহলে ভোটারদের কাছে অনুরোধ থাকবে তৎক্ষণাৎ জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে জানানোর জন্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে।'
প্রেস ব্রিফিংয়ে যশোরে পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, 'প্রত্যেক ভোটার যেন নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেন, স্বাধীনভাবে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। ভোটারদের যদি কেউ কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয় কিম্বা ভোট নিয়ে কোনো ধরনের পরিবেশ বিনষ্টের চেষ্টা করে তাহলে তা আইনানুগভাবে দমন করা হবে।'
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, এ তিন উপজেলায় কিছু ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সংঘটিত নির্বাচনী অপরাধের কারণে গত ১৭ মে পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রার্থী এবং কর্মী-সমর্থকদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন অন্য দুই উপজেলার চেয়ে শার্শা উপজেলায় নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন থাকবে বেশি।
তিন উপজেলায় মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১ হাজার ৭১৮ জন পুলিশ, ৬০ জনর্ যাব সদস্য এবং ৬০ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ৮ পস্নাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন তিন উপজেলার নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশিদ প্রমুখ।