ভেড়ামারায় দাবদাহে পশুপাখির পিপাসা মেটাতে পানির পাত্র স্থাপন

প্রকাশ | ২০ মে ২০২৪, ০০:০০

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
গাছ প্রেমিক পিয়ারুল ইসলাম প্রচন্ড দাবদাহে পাখির পিপাসা মেটাতে গাছে ও বিদু্যতের খুঁটিতে পানির পাত্র বেঁধে রাখেন। কুকুরসহ অন্য প্রাণীদের জন্য বিভিন্ন স্থানে মাটির তৈরি পানির পাত্র গর্ত করে এর ওপর বসিয়ে রাখেন তিনি। তার এই উদ্যোগ চলবে দাবদাহ যতদিন থাকবে এবং পুকুর জলাশয়, খাল-বিলে যতদিন না পানি জমছে ততদিন পর্যন্ত। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার কলেজপাড়ার গাছপ্রেমিক খ্যাত পিয়ারুল ইসলামের (৫০) ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। জানা গেছে, গাছপ্রেমিক পিয়ারুল ইসলাম গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করা তার নেশা। নিয়মিত সড়ক ও রেললাইনের ধারে গাছের চারা রোপণ করে আসছেন। সরকারি দপ্তরে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চত্বরে ঔষুধি গাছের চারা রোপণ ও সেগুলো পরিচর্যা করছেন। অভাবের সংসারে খরচ বাঁচিয়ে এখন পর্যন্ত তিনি সাত হাজার তালবীজ ও আট হাজার ঔষুধিসহ বিভিন্ন জাতের গাছ লাগিয়েছেন। এ ছাড়াও শত শত গাছকে পেরেকমুক্ত করেছেন। এখনো করে যাচ্ছেন। এটা তার নেশা-পেশা দুটোই বলা যায়। গাছে পেরেক দিয়ে বিজ্ঞাপনের ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো বন্ধ করতে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি সেগুলো উপড়ে ফেলার কাজ করে যাচ্ছেন নিয়মিত। এবার তিনি দাবদাহে পাখির পিপাসা নির্বারণের জন্য গাছে গাছে পানির ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছেন। ভেড়ামারা ও ঈশ্বরদী উপজেলায় ৩০০ গাছে ও বিদু্যতের খুঁটিতে পানির পাত্র বেঁধে দেবেন বলে জানান। প্রথম দিন ভেড়ামারা শহরের বিভিন্ন স্থানে পাত্র বেঁধেছেন। কুকুরসহ অন্যান্য প্রাণীর জন্য বিভিন্ন স্থানে ১০০ মাটির তৈরি পানির পাত্র গর্ত করে তার ওপর বসিয়ে রাখেন। এগুলোতে তিনি ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করবেন। ভেড়ামারা ইউএনও আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, প্রচন্ড দাবদাহে প্রাণিকুল ওষ্ঠাগত। টানা দাবদাহের মধ্যে পাখিরা অতিষ্ঠ। পিয়ারুল ইসলাম নিজ উদ্যোগে প্রকৃতি ও পরিবেশের অনেক কাজ করেন। এ সময় তিনি পাখিদের পানি খাওয়ানোর জন্য পাত্র বেঁধে দিচ্ছেন। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। তার উদ্যোগে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। গাছপ্রেমিক পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ বছর তীব্র গরম পড়ছে। দেশজুড়ে চলছে দাবদাহ। পাশাপাশি পানির তীব্র সংকট শুরু হয়ে গেছে। মাঠে, খালে-বিলে কোথাও পানি নেই। কোথাও কোনো টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। মানুষের বিশুদ্ধ পানির জন্য নাভিশ্বাস উঠেছে। পশুপাখিরাও পানির জন্য কষ্ট পাচ্ছে। তাই আমি পশুপাখিদের পিপাসা নির্বারণের জন্য পানির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছি।