গোপালগঞ্জে উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওসিকুর ভূইয়া নামের এক ব্যক্তি নিহত ও পাঁচজন আহতের ঘটনায় রোববার ডিসি অফিস ঘেরাও করে হত্যাকারীদের দ্রম্নত গ্রেপ্তারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নানা শ্রেণিপেশার মানুষ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকশ' নেতাকর্মী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে। ওসিকুর ভূঁইয়ার হত্যাকারীদের দ্রম্নত গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। তারা হত্যাকারীদের দ্রম্নত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে অশান্ত গোপালগঞ্জকে শান্ত করার দাবি জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে চন্দ্রদিঘলিয়া হাইস্কুলের সামনে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন-পরবর্তী আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরাজিত প্রার্থী লিয়াকত আলি ভূঁইয়া এবং বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থকরা বি.এম লিয়াকত আলী ভূঁইয়ার এক সমর্থককে মারধর করে। এরই জের ধরে লিয়াকত আলী ভূঁইয়ার সমর্থকরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থক এবং তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চন্দ্রদিঘলীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থকরা গুলি চালালে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওসিকুর ভূঁইয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।