রাঙামাটির লংগদুতে জেএসএস (সন্তু) কর্তৃক ইউপিডিএফের এক সদস্য ও এক সমর্থককে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ইউপিডিএফ রাঙামাটির সদর উপজেলার কুদুকছড়িতে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে লংগদু হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে আজ সোমবার রাঙামাটি জেলায় অর্ধদিবস (ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা) পর্যন্ত সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সমাবেশে ইউপিডিএফ সংগঠক বাবলু চাকমার সভাপতিত্বে ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নিশি চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ধর্মশিং চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, 'সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসন বিধি (১৯০০ সালের রেগুলেশন) বাতিল করার প্রচেষ্টার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ যখন আন্দোলন গড়ে তুলেছে ঠিক সে সময় সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও আন্দোলন বানচাল করতে সন্তু লারমা তার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী বিদ্যাধন চাকমা ও সমর্থক ধন্যমনি চাকমাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে।'
সন্তু লারমা জুম্মো জনগণের স্বার্থের বিপরীতে গিয়ে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, '১৯৯৭ সালে চুক্তির নামে সন্তু লারমা জনগণের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। এখন জনগণের পক্ষে যারা আন্দোলন করছেন তাদের হত্যা করে সরকার-রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।'
তারা সন্তু লারমাকে খুনি-সন্ত্রাসীদের গদফাদার আখ্যায়িত করে তাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণের দাবি জানান এবং সন্তু লারমার খুনের রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে লংগদুর বড়হাড়িকাবার ভালেদি ঘাটের পার্শ্ববর্তী স্থানে সন্তু গ্রম্নপের ৭ জনের একটি দল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।