আজকের যায়যায়দিন

নারায়ণগঞ্জের ফতুলস্নায় দেনা-পাওনার জের ধরে আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) নামে এক রাজমিস্ত্রিকে হত্যার ঘটনায় মূল ঘাতক মাসুম মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের ৫ মাস পর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার ভোরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ মধ্য পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই এলাকার নাজমুল হোসেনের ছেলে।

নিহত আব্দুর রাজ্জাকের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। তিনি ফতুলস্নার পাগলা নুরবাগ এলাকায় বসবাস করতেন ও পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। রাজ্জাক মারা যাওয়ার ৫ মাস আগে তার স্ত্রী মারা যান। তিনি ২২ বছর বয়সি একমাত্র ছেলে আকাশকে নিয়ে নুরবাগ পাঁচতলা ভবনের ফ্ল্যাটটিতে ভাড়া থাকতেন।

ফতুলস্না মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম জানান, হত্যাকারী প্রতিনিয়ত স্থান ত্যাগ করার ফলে ধরতে অনেকটা সময় লেগে যায়। ওসি'র পরামর্শে কৌশল পরিবর্তন করায় মাসুমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আর মাসুম কেন এবং কীভাবে রাজ্জাক মিয়াকে হত্যা করেছে তা পুলিশের কাছে শিকার করেছে।

পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে ২২শ' হেক্টর জমির ফসল

তিনি আরও বলেন, ঘাতক মাসুম মিয়া আর রাজ্জাক পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে তারা দুইজন পাগলা নুরবাগ এলাকায় বসবাস করায় তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। মাসুম নুরবাগে একটি টং দোকানে ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন। তাদের সম্পর্কের সুবাদে রাজ্জাকের কাছে লাভের ওপরে ৫ হাজার লোন নেন মাসুম। এই টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে মনমালিন্য হয়। টাকা না দেওয়ার কারণে মাসুমের টং দোকান তালা মেরে দেন রাজ্জাক। আর গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখ বিকালে মাসুম দোকানের চাবি আনতে রাজ্জাকের বাসায় যান মাসুম। সেই সময় পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়া হলে মাসুম ধারালো ছুরি দিয়ে রাজ্জাককে হত্যা করেন। পরে তার হাত পা বেঁধে ঘর তালা মেরে পালিয়ে যান।