পটুয়াখালীতে কোয়েল পাখি পালনে যুবকের বাজিমাত

প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে আড়াই হাজার ডিম

প্রকাশ | ২০ মে ২০২৪, ০০:০০

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর তরুণ উদ্যোক্তা নাহিদ ইসলামের খামারের কোয়েল পাখি -যাযাদি
বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পাখি পালন করে সাফল্যের মুখ দেখছেন পটুয়াখালী সদর উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের শিক্ষিত যুবক নাহিদ ইসলাম। নাহিদের খামারে বর্তমানে ৩ হাজার ২শ' কোয়েল পাখি রয়েছে। এই কোয়েল ফার্ম দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক কোয়েল পালনে আগ্রহী হচ্ছেন। আর স্থানীয় বাজারে সৃষ্টি হয়েছে কোয়েল পাখির মাংস ও ডিমের বাজার। সদর উপজেলার হেতালিয়া বাঁধঘাট এলাকার বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম স্বপনের ছেলে নাহিদ ইসলাম তিন বছর আগে শখের বসে ছোট খাঁচায় করে ১৬টি কোয়েল পাখির পালন শুরু করেন। সেখান থেকেই কোয়েল পাখি নিয়ে কাজ শুরু নাহিদের। নানা সংকটেও হাল না ছেড়ে কোয়েল পাখির ডিম উৎপাদন ও পাখি পালনে মনোনিবেশ করেন তিনি। শুরুতে পরিবারের সদস্যরা এটিকে ভালোভাবে মেনে না নিলেও এখন দুটি সেটে নাহিদের খামারে ৩ হাজার ২শ'র বেশি কোয়েল পাখি পালন করছেন। প্রতিদিন এখান থেকে উৎপাদন হচ্ছে আড়াই হাজরের বেশি ডিম। প্রতিদিনই এই কোয়েল ফার্ম দেখতে স্থানীয়সহ অনেকেই আসছেন। অনেকে নাহিদের কাছ থেকে বুদ্ধি-পরামর্শ নিয়ে বাচ্চা সংগ্রহ করে নতুন করে কোয়েল পাখি পালনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। বর্তমানে খাওয়ার উপযোগী কোয়েল পাখি ৬০ টাকা পিস এবং প্রতি হালি ডিম ১২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। নাহিদ জানান, একটি কোয়েল বছরে প্রায় ২০০ ডিম দেয়। প্রতিটি ডিমের ওজন ১৫ থেকে ২০ গ্রাম। ২ মাস বয়স থেকেই কোয়েল পাখি ডিম দিতে শুরু করে। এখন তিনি একটি বাচ্চা ফোটানোর মেশিন কিনে বাচ্চা উৎপাদন করারও পরিকল্পনা করছেন। পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক সরদার জানান, আমিষের চাহিদা মেটাতে কোয়েল পাখির মাংস বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি কোয়েল পাখির খাবার খরচ কম হওয়ায় এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ সবাইকে সহযোগিতা করছে। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কোয়েল পাখির ডিম এবং মাংসের একটি চাহিদা রয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে কোয়েল পাখির মাংস বিক্রি হচ্ছে।