আজকের যায়যায়দিন

যশোর সদর উপজেলা যুবমহিলা লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। 'প্রধানমন্ত্রীর জামাতাও বিএনপি করেন'-ফাতেমা আনোয়ারের এমন বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার এ সুপারিশ করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানায়, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার।

তিনি জানান, যশোর সদর উপজেলা যুবমহিলা লীগের আহ্বায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেন। এই সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, 'আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জামাতাও বিএনপি করেন।' তিনি আরও বলেছেন, 'তার স্বামী জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা এবং একই পরিবার থেকে একাধিক দল করতেই পারে।'

তার এই বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাকে যুবমহিলা লীগের আহ্বায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশ করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উলেস্নখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

চাঁদপুরে ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম ইলিশের আড়ত

এ বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।'