মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১

ইবিতের্ যাগিংয়ের বিচারে দীর্ঘসূত্রতা

ইবি প্রতিনিধি
  ১৯ মে ২০২৪, ০০:০০
ইবিতের্ যাগিংয়ের বিচারে দীর্ঘসূত্রতা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) গণরুমে রাতভর বিবস্ত্র করে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা মিললেও ব্যবস্থা নিতে কালক্ষেপণ করছে প্রশাসন। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরও পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন ঢিলেমি করছে বলে অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রম্নয়ারি ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে রাতভরর্ যাগিং করা হয়। এ সময় কথা না শুনলে তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে পর্নোগ্রাফি দেখে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করে নির্যাতনকারীরা। এতে গুরুতর অভিযুক্ত দুইজন হলেন- শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ সাগর। এছাড়া ইতিহাস বিভাগের উজ্জ্বল হোসেন কম জড়িত ছিল। তারা সবাই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে ওই কক্ষে প্রায়ইর্ যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে বলে সাক্ষাৎকার দেওয়া শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কাছে জানান।

এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, 'ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন কর্তৃকর্ যাগিংয়ের ঘটনা গত কয়েক বছর যাবৎ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। যার সর্বশেষ লালন শাহ হলে ছাত্রলীগ কর্মী দ্বারা বিবস্ত্র করের্ যাগিংয়ের ঘটনা, গত তিন মাস আগে ঘটলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি, যেন দ্রম্নত সময়ের মধ্যের্ যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হয়।'

প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডক্টর দেবাশীষ শর্মা বলেন, 'গত ঈদের ছুটির আগেই আমরা ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিয়েছি। সিদ্ধান্তের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডক্টর শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, 'প্রতিবেদন এখনো আমার কাছে আসেনি। আসলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর শেখ আবদুস সালাম বলেন, 'এটি মূলত ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটি হয়ে পরবর্তীতে সিন্ডিকেটে আসবে। এখানে একটু মিসটেক হয়েছে তাই দেরি হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে সব জায়গায় দ্রম্নত সমাধানের জন্য বলেছি। আশা করি শীঘ্রই এর সমাধান হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে