অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনাকে বৈষম্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম। সংগঠনটি এ ধরনের বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের জোর দাবি জানান। শনিবার সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর পরেশ চন্দ্র বর্মণ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর রবিউল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, গত ১৩ মার্চ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত একটি প্রজ্ঞাপন শাপলা ফোরামের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ হতাশ ও সংক্ষুব্ধ। প্রচলিত পেনশন ব্যবস্থা স্থগিত করে সর্বজনীন নাম দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেবল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে বিশেষ বৈষম্যমূলক পেনশন চালু করার তীব্র বিরোধিতা করছে সংগঠনটি।
তারা আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও জ্ঞান-সৃজন কেন্দ্র। সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত একপেশে নীতি প্রবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সঙ্গে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টির পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করবে এবং মেধাবীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করবে বলে শাপলা ফোরাম মনে করে। তাছাড়া ঘোষিত প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকসমাজ একদিকে যেমন আর্থিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অন্যদিকে এ পেশা থেকে মেধাবীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। এজন্য শাপলা ফোরাম এ ধরনের বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের জোর দাবি জানাচ্ছে।
উলেস্নখ্য, আগামী ১ জুলাই বা তার পরে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থার চাকরিতে যারা যোগদান করবেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত করা হবে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এর অন্তর্ভুক্ত হবে।