কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে একটি এনজিও সংস্থার আয়োজনে সেমিনার ও প্রশিক্ষণে গোপনে অংশগ্রহণ করতে এসে পুলিশের হাতে ৩২ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ আটক হয়েছে।
গত শুক্রবার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন।
জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে উখিয়ার সদর রাজাপালং ইউনিয়নের আদালতপাড়া-সংলগ্ন একটি বহুতল ভবনে গেস্নাবাল ট্রেইনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণের আয়োজন করে এশিয়া প্যাসিফিক অব রিফিউজি ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস নামক একটি সংস্থা।
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে সভা সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে চাইলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কর্মকর্তা (আরআরআরসি) এবং সংশ্লিষ্ট সিআইসির অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত ক্যাম্পের বাইরে এনে রোহিঙ্গা যুবক-যুবতীদের নিয়ে সেমিনার ও প্রশিক্ষণের আয়োজক এশিয়া প্যাসিফিক অব রিফিউজি ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের সহযোগিতায় ভিডিও কনফারেন্সের কার্যক্রম শুরু করা হয়। বিষয়টি নজরে আসে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের নিয়ে এ ধরনের আয়োজন দেখতে পায়। পরবর্তী সময়ে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উখিয়া থানার ওসিকে অবহিত করে। খবর পেয়ে পুলিশ গেস্নাবাল ট্রেনিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ৩২ জন রোহিঙ্গা, দু'টি ল্যাপটপ, একটি প্রজেক্টর, ৩২টি মোবাইল ও সংগঠনের বিভিন্ন ডকুমেন্টস জব্দ করে।
গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জানান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণের নামে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আসলে কি তথ্য আদান প্রদান করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, আটক রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।