রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনে ৫ প্রার্থীর জরিমানা

ঈশ্বরদীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙের অভিযোগ নালিতাবাড়ীতে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনে জরিমানা
স্বদেশ ডেস্ক
  ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনে ৫ প্রার্থীর জরিমানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে পাঁচ প্রার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে। এ দিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিন্টুর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙের অভিযোগ উঠেছে। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধির পাঠানো বিস্তারিত খবর-

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত বৃহস্পতিবার বিকালে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোনাব্বর হোসেন যৌথ অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন। অর্থদন্ড পাওয়া প্রার্থীরা হলেন- সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিন, শাহাদাৎ হোসেন শোভন ও অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন। তাদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে ৯০ হাজার টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইলিয়াস চৌধুরীকে পাঁচ হাজার টাকা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিমা আক্তারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, আগামী ৫ জুন সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। ২০ মে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রার্থীরা জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার, ফেস্টুন, ও পোস্টার ঝুলিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাই পাঁচ প্রার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে।

পাবনা প্রতিনিধি জানান, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচনে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার। এছাড়াও ভোট না দিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মিন্টুর বিরুদ্ধে।

শুক্রবার দুপুরে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুলস্নাহ আল মামুন। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার কাচারীপাড়া রেনেসা ক্লাবের পাশে শ্রী শ্রী হরে কৃষ্ণ মন্দিরে শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর ভোগ অনুষ্ঠান চলছিল। দুপুর ২টার দিকে সেখানে উপস্থিত হোন মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু। সেখানে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালান এবং সবার কাছে ভোট প্রার্থনা করেন, যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা-২০১৬ এর ২০ ধারা পরিপন্থি। এছাড়াও মিন্টু ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তাকে মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট না দিলে দল থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের, যা আচরণবিধির ১৮ এর 'ক' ও 'ঘ' ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিষয়টি নিয়ে অভিযোগকারী চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, 'আমার কাছে ভোট চাওয়ার প্রমাণ আছে। আমি প্রমাণ সহকারে নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করেছি। এছাড়াও আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর পক্ষে যেসব চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোটে প্রচারণা করছেন তারা সরকারের ভাতাভোগী সাধারণ ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন।'

এব্যাপারে অভিযুক্ত মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, 'মন্দিরের পাশেই আমার একটি ক্লাব আছে, সেখানেই ছিলাম। ক্লাবসংলগ্ন হওয়ায় সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো ভোট চাইনি। আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হচ্ছে।'

সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুলস্নাহ আল মামুন বলেন, 'আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের আলোকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ নেওয়া হবে।'

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি জানান, শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লংঘন করায় প্রার্থীকে এক হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জি এম এ মুনিব।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারগাড়িতে একের অধিক মাইক থাকায় একটি মাইক জব্দসহ জরিমানা করা হয়। এছাড়াও পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচন আচরণবিধি প্রতিপালনে মনিটরিং করে একই প্রার্থীর একাধিক অফিস থাকায় নিয়ম অনুযায়ী একটি করে অফিস রেখে বাকি অফিসগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে