আজকের যায়যায়দিন

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষ রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের আতঙ্কে রয়েছেন। একের পর এক রাসেল ভাইপারের দেখা মিলছে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এতে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

উপজেলার বোরচরে কৃষক সুমন বেপারী তার জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখা মিলে রাসেল ভাইপার। পরে সবাই মিলে মেরে ফেলে এই বিষধর সাপটিকে। এর আগে ফেব্রম্নয়ারি মাসে গফুর বাদশার অলুর জমিতে দেখা মিলেছিল ২টি রাসেল ভাইপার। হঠাৎ করেই মতলব উত্তরের নদী পাড়ের বিভিন্ন স্থানে রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রব বেড়েছে।

কৃষক সুমন বেপারী জানান, জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখেন ধানের মুঠির নিচে একটি সাপ শুয়ে আছে। সবাই মিলে সাপটিকে লাঠিসোটা দিয়ে মেরে ফেলা হয়। সাপের ভয়ে কোনো শ্রমিক জমিতে ধান কাটতে চাচ্ছে না।

বোরচর এলাকার সানাউলস্নাহ মাস্টার জানান, গত কয়েক মাস ধরে বোরচর এলাকার রাসেল ভাইপারের দেখা মিলছে। এতে জমিতে ফসল কাটতে ভয় পাচ্ছে শ্রমিকরা।

পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে ২২শ' হেক্টর জমির ফসল

উপজেলার এখলাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী জানান, বোরচর এলাকার সাপের দেখা মিলছে। কৃষকদের সাবধানে ধান কাটতে বলা হয়েছে। বেশ কয়েকমাস ধরে এ অঞ্চলে এ ধরনের সাপের দেখা মিলছে। মতলব-উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হাসিবুল ইসলাম জানান, রাসেল ভাইপার সাপ অত্যন্ত বিষধর। এর কামড়ে মৃতু্য পর্যন্ত হতে পারে। যদিও এর প্রতিষেধক রয়েছে। সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া হলে এ থেকে বাঁচা সম্ভব।

মতলব-উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, মতলবের চরাঞ্চলে রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রব অনেক বেড়েছে। এখলাসপুর ইউনিয়নের বোরচর এই সাপের উপদ্রব বেশি। এখন কৃষকরা পায়ে বুট পরে ধান কাটবেন। আর ধানকাটা শ্রমিকদের বুট দেওয়াও অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আমাদের জানালে ধান কাটা মেশিন দিয়ে সহায়তা করা হবে।