রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১
হুমকির মুখে ৫০ হাজার মানুষের জীবনযাত্রা

নদী ভাঙনের কবলে কালাবগী বাজার

দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
  ১৭ মে ২০২৪, ০০:০০
খুলনার দাকোপে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কালাবগী মডেল বাজার - যাযাদি

খুলনার দাকোপে কালাবগী মডেল বাজার এলাকায় ভয়াবহ নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু স্থাপনা, বসতভিটা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ গাছপালা সুতারখালী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ভয়াবহতায় এলাকাবাসী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ভাঙনের খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন।

সরেজমিন এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩২ নম্বর পোল্ডারে উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের কালাবগী মডেল বাজার ও চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় কয়েকদিন যাবৎ নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে চা দোকানদার মিজান গাজী, সালাম মোল্যা, খানজাহান সরদার, নাইম মোল্যা, সাইফুল গাজীর বসত বাড়িসহ মডেল বাজারের বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুতারখালী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

এছাড়া বাজারের আরও একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসতভিটাসহ বেশ কিছু জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে। দ্রম্নত ব্যবস্থা না নিলে ঐতিহ্যবাহী মডেল বাজারটি সম্পূর্ণ নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে।

কালাবগী এলাকার সালাম মোল্যা বলেন, 'বসতভিটা ঘর বাড়ি সব কিছু ভাঙনে সুতারখালী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন ভাঙন থেকে একটু দূরে একটা ফাঁকা ঘরে মালামাল নিয়ে রয়েছি। তবে খোলা জায়গায় রান্না-বান্না করে খেতে হচ্ছে। সব মিলে পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি এবং অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছি।'

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির জানান, ভাঙন প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুধু জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা যাবে না। স্থায়ী ভাবে ভাঙন প্রতিরোধ করতে হলে আগে নদী শাসন পরে বস্নক ড্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তা ছাড়া আইলার তান্ডবে পাউবোর ৩২ নম্বর পোল্ডারে অধিকাংশ ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চায়নার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩২ ও ৩৩ নম্বর পোল্ডারে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি নদী শাসন না করে নির্মিত শত কোটি টাকার প্রকল্প হস্তান্তরের আগেই ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে এখানকার ৫০ হাজার মানুষের জীবন রয়ে গেছে এখনো অনিরাপদ।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী গোপাল কুমার দত্ত বলেন, পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কালাবগীর ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। বাজেট এবং বেড়িবাঁধ নির্মাণের নকশা করা হচ্ছে। দ্রম্নত কাজ শুরু করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে