রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

চরফ্যাশন-ঢাকা নৌরুটে লঞ্চ মালিকদের রোটেশন সিন্ডিকেট

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
  ১৭ মে ২০২৪, ০০:০০
ভোলার চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চঘাট - যাযাদি

ভোলার চরফ্যাশন বেতুয়া টু ঢাকা নৌরুটে চলছে লঞ্চ মালিকদের রোটেশন সিন্ডিকেট। এতে করে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের পাশাপাশি গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা।

জানা যায়, যুগের পর যুগ উপজেলার সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি ছিল চরফ্যাশন বেতুয়া টু ঢাকা নৌরুটে লঞ্চ চলাচল। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম প্রথম একটি লঞ্চ চালু করলেও দুর্ভাগ্যবশত লঞ্চটির স্থায়িত্ব হয়েছে মাত্র ৭ দিন।

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তৎকালীন উপমন্ত্রী আব্দুলস্নাহ আল ইসলাম জ্যাকবের প্রচেষ্টায় এখানকার মানুষের প্রাণের দাবি পূরণ হয়। সেই থেকে ঝাঁকজমকপূর্ণভাবে দৈনিক তিনটি করে আসা-যাওয়া শুরু হয় এম ভি কর্ণফুলী, এম ভি তাসরিফ ও এম ভি ফারহান কোম্পানির ছয়টি লঞ্চ।

যাত্রীরা জানান, অতিরিক্ত লাভের আশায় দীর্ঘ কয়েক বছরের নিয়মকানুন ভেঙে সম্প্রতি লঞ্চ মালিকরা রোটেশন পদ্ধতি চালু করেছে। রোটেশন পদ্ধতিতে এখন শুধু একটি করে লঞ্চ আসা-যাওয়া করছে। তারা বলেন, এই রোটেশন সিন্ডিকেটের কারণে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহার, কেবিন সংকট, স্টাফ কেবিন ও ডেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, হাতে থাকা ছোট ছোট মালামালের ভাড়া আদায়, নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে না পারা, অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কাসহ বিভিন্ন সমস্যা ও দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের।

বেতুয়া লঞ্চঘাট এলাকার আছলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলিটারি বলেন, 'রোটেশন সিন্ডিকেটের কারণে বেতুয়া লঞ্চ ঘাটটি প্রায় যাত্রীশূন্য হয়ে পড়েছে। যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের জন্য এখন ঘোষেহাট, লালমোহন ও ভোলার লঞ্চঘাট বেঁচে নিয়েছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে বেতুয়া লঞ্চঘাটের ইজারাদার, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী লঞ্চ কোম্পানির মালিক মো. সালাউদ্দিন মিয়া জানান, 'পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে এই রুটে যাত্রী কিছুটা কম হওয়ায় আমরা এই পদ্ধতি চালু করেছি।' যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে চলমান সমস্যার সমাধান করা হবে।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছালেক মুহিদ বলেন, কিছুদিন আগে ঢাকা যাওয়ার জন্য আমিও লঞ্চে কেবিন পাইনি। অনেক কষ্ট করে যেতে হয়েছে। যাত্রীদের দুর্ভোগের অভিযোগ ইতিপূর্বে আমরাও অনেক পেয়েছি। বিষয়টি সমাধানের জন্য দ্রম্নত সময়ের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিআইডবিস্নউটিএর সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে