কলেজ ছাত্রকে জেলে প্রেরণ

গোদাগাড়ী থানার ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০

রাজশাহী অফিস
নামের মিল থাকায় মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় রাজশাহী গোদাগাড়ী থানার ওসি আব্দুল মতিন ও এসআই আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র ইসমাইল হোসেনের ভাই আব্দুল হাকিম রুবেল। বুধবার দুপুরে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ও রাজশাহী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। আব্দুল হাকিম রুবেল অভিযোগ করেন, '২০২১ সাল থেকে এসআই আতিকুর রহমান তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন। সর্বশেষ আমার কলেজ পড়ুয়া ছোটভাই ইসমাইল হোসেনকে ধরে নিয়ে গিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে পরিবারের মানক্ষুণ্ন করেন। এর আগে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে আমার পিতা আব্দুল করিমকে ধরে নিয়ে গিয়ে নাশকতার মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায়।' এসব ঘটনা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি। আব্দুল হাকিম রুবেল জানান, '২০২১ সালে জমি নিয়ে আমার চাচা গোলাম মোস্তফার সঙ্গে দ্বন্দ্ব হলে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন। ২০২১ সালের ২০ ও ২২ জানুয়ারি দুই দিন ওই অভিযোগের তদন্তে যান গোদাগাড়ী থানার এসআই আতিকুর রহমান। তদন্তে গিয়ে তিনি আমার বৃদ্ধ পিতা-মাতার সঙ্গে অশালীন আচরণ ও তাদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। এ সময় তিনি আমাদের উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। এ ঘটানার প্রতিকার চেয়ে ২৬ জানুয়ারি এসআই আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দেন আমার পিতা। এরপর আমাদের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এসআই আতিকুর। এরপর থেকে তিনি আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন।' এসব বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে গোদাগাড়ী মডেল থানার এসআই আতিকুর রহমান বলেন, 'জমি নিয়ে ঝামেলা তদন্তে একবার তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সে সময় আমার সঙ্গে তৎকালীন ওসি কামরুল ইসলাম ছিলেন। সেদিন আমি নিজে কিছু বলিনি যা বলার ওসি স্যারই বলেছেন। সেদিন আমার মোবাইল ডিউটি থাকায় সেখানে গিয়েছিলাম।' রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, 'নামের মিল থাকায় কলেজ ছাত্র ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সেটি তদন্ত করে দেখব। অভিযোগ সত্য হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' গত সোমবার নামের মিল থাকায় কলেজ ছাত্র ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান এসআই আতিকুর রহমান। কলেজ ছাত্রের পরিবারের আপত্তি না মানলেও পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুনঃতদন্ত শেষে 'ভুল করে' তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসমাইল কারাগার থেকে মুক্তিপান।