শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

যশোরে আদ্‌-দ্বীনে অবহেলায় নবজাতক মৃতু্যর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
  ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০
যশোরে আদ্‌-দ্বীনে অবহেলায় নবজাতক মৃতু্যর অভিযোগ

যশোরে চিকিৎসকের দায়িত্ব অবহেলায় এক নবজাতকের মৃতু্যর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে শহরের রেলরোড এলাকার আদ্‌-দ্বীন হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর হাসপাতালে বিক্ষোভ করেন নবজাতকের স্বজনরা। তবে হাসপাতালে দায়িত্বরতরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

রোগীর স্বজনরা জানান, যশোর শহরের নীলগঞ্জ সাহা পাড়ার আব্দুল গফ্‌ফারের স্ত্রী লামিয়া বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে বুধবার সকালে শহরের রেলরোডের আদ্‌-দ্বীন সখিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকাল ১০টার দিকে নার্সরা তার স্বাভাবিক ভেলিভারি করান। এরপর নবজাতককে তারা এনসিইউতে নিয়ে যান। পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর দুপুর ১টার পর রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।

নবজাতকের নানী মিনারা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে তার স্বামী এ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমরা তো সিজার অপারেশনের জন্য এনেছিলাম। ডাক্তাররা বলেছে, নরমাল ডেলিভারি হবে। কিন্তু ডাক্তারদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। নার্স ও আয়াকে দিয়ে ডেলিভারি করানো হয়। তাদের অবহেলার কারণেই শিশুটি মারা গেছে।

নার্স বিউটি মন্ডল বলেন, সকালে রোগীকে আনার পর পরীক্ষা করা হয়। নবজাতকের মাথা সামনে থাকায় স্বাভাবিক ডেলিভারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চিকিৎসক রিতা দাসও রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন। সাধারণ ডেলিভারির ক্ষেত্রে নার্সরাই সব করেন। সে মোতাবেকই ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশুটি হাপিয়ে যাওয়ায় তাকে এনসিইউতে পাঠানো হয়। সেখানেই শিশুটি মারা গেছে। এখানে কোন প্রকার অবহেলা হয়নি।

ডা. রিতা দাস বলেন, 'সকালে রোগীকে পরীক্ষার পর নবজাতকের মাথা সামনের দিকে থাকায় স্বাভাবিক ডেলিভারির জন্য স্যালাইন পুশ করা হয়। আমি রোগীকে ভালো অবস্থায় পেয়েছি। তাছাড়া রোগীর স্বজনরা কেউ সিজারিয়ান অপারেশনের কথা আমাদের বলেননি। ফলে আমরা স্বাভাবিক ডেলিভারি করিয়েছি। প্রসূতির বয়স কম ও প্রথম সন্তান হওয়ায় শিশু চাপে হাঁপিয়ে গেছে।

এনসিইউর ডা. কিশোর কুমার বিশ্বাস বলেন, শিশুটিকে আনার পর তাকে বাঁচানোর জন্য ভেন্টিলেশনসহ সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাদের পক্ষ থেকে কোনো অবহেলা ছিল না।

হাসপাতালের ম্যানেজার মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, রোগীকে ভর্তির পরে ডাক্তার রিতা দাস তাকে দেখেছেন। নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে তারা সব কাজ করে থাকেন। সেভাবেই ডেলিভারি হয়েছে। নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকেও সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ মৃতু্যতে হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোন অবহেলা ছিল না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে