শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

মুক্তাগাছায় নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগে হ-য-ব-র-ল

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০
মুক্তাগাছায় নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগে হ-য-ব-র-ল

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা) নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ উপজেলায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগে দক্ষ ও অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে পাশের উপজেলা ফুলবাড়িয়া হতে শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বিগত নির্বাচনে যারা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের করা হয়েছে পোলিং অফিসার। বিগত নির্বাচনগুলোতে উপজেলার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিল, যা একেবারে হ-য-ব-র-ল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

আগামী ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিগত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন অনেক কর্মকর্তা বাদ দিয়ে পাশের উপজেলা ফুলবাড়িয়া থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিগত জাতীয় নির্বাচনে দ্বায়িত্ব পালন করেও নিয়োগ না-পাওয়াদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ নিয়ে অনেকেই উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা পাননি।

উপজেলা নির্বাচন অফিসের রেজিস্টার বইয়ে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অফিসের অষ্টম গ্রেডের চাকরিজীবী সিরাজুল ইসলাম আবেদন করেন বিগত নির্বাচনগুলোতে তিনি সহকারী প্রিজাইডিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার নির্বাচনে তাকে পোলিং হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি সেখানে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের দাবি করেন।

উপজেলার ঝনকা বাজার দাখিল মাদ্রাসা থেকে সব শিক্ষকবে নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের তালিকা পাঠালেও সেখান থেকে পাঁচজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিগত নির্বাচনে যারা অনেকেই সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিংয়ে দায়িত্ব পালন করেন।

ঝনকা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসেন বলেন, 'আমি জাতীয় নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করি। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডিউটির তালিকায় আমার নাম নেই। আমি সহকারী প্রিজাইডিং অথবা পোলিং অফিসার যেকোনো দায়িত্ব পালনে আগ্রহী। আমাকে ডিউটি না দিয়ে পাশের উপজেলা থেকে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন, যা মোটেই কাম্য নয়। আমাদের মাদ্রাসা থেকে আমিসহ পাঁচজন অভিজ্ঞ শিক্ষকদের বাদ দেওয়া হয়েছে। সারা উপজেলায় অনেক পুরাতন অভিজ্ঞতা শিক্ষকদের বাদ দেওয়া হয়েছে।'

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দা শারমিন সুলতানা বলেন, ফুলবাড়িয়া উপজেলা থেকে কিছু সংখ্যক জনবল নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যদি নিজের উপজেলায় দক্ষ জনবল কম থাকে তাহলে পাশের উপজেলা থেকে জনবল নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এটি সারাদেশেই হয়ে থাকে। তবে যদি সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচনি দায়িত্ব পালনে বাদ পড়ে থাকেন সে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে