রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

সোনালু, কৃষ্ণচূড়া ও জারুল ফুল প্রকৃতিকে সাজিয়েছে ভিন্ন সাজে

মাফুজা আফরিন মনি, কালীগঞ্জ (গাজীপুর)
  ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০
সোনালু, কৃষ্ণচূড়া ও জারুল ফুল প্রকৃতিকে সাজিয়েছে ভিন্ন সাজে

হলুদ সোনালু, লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া ও বেগুনি জারুল ফুল প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে রঙিন করে তুলেছে। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে যখন মানুষ ও প্রকৃতি হাঁপিয়ে উঠেছে, ঠিক সেই সময়েও চারদিকে সবুজের বুক চিরে হলুদ, রক্তিম লাল ও বেগুনি আভা জানান দিচ্ছে তাদের নয়নাভিরাম রূপের। ঢাকার লাগোয়া শিল্পখ্যাত জেলা গাজীপুরের কালীগঞ্জের বিভিন্ন পথ-ঘাট এখন প্রকৃতির এক অপরূপ সাজে সজ্জিত। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কখনো দেখা মিলছে রোদ, কখনো ঝড়-বৃষ্টি। আর এর মধ্যেও প্রকৃতিতে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও জারুল ফুলের রং, যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে পথচারীর।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের বোয়ালী ব্রিজের এক কোনে সড়কের পাশে সোনালু ফুলের হলুদ আভায় রঙিন হয়েছে পুরো সড়ক। গাছটি সড়কে চলাচলকারী পথচারীদের বিমোহিত করছে। কালীগঞ্জ কেন্দ্রীয় পাঠাগার চত্বরে ঠায় দাঁড়িয়ে দু'টি জারুল গাছ। গাছ দু'টি পাঠাগারে আসা পাঠক-দর্শনার্থীদের মধ্যে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে।

কালীগঞ্জ আরআরএন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক কোনে অনেক পুরনো দু'টি কৃষ্ণচূড়া গাছ। ওই জায়গাটা খুবই ঠান্ডা। শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উঠা আসা বাতাসে গা জুড়ায়। তাছাড়া এখানে অনেকেই আসে ঘুরতে ও ছবি তুলতে। আবার অনেকে গাড়ি থামিয়ে বিশ্রাম নেয়। কালীগঞ্জের আনাচে-কানাচে অসংখ্য সোনালু, জারুল ও কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে, যা এই সময়ে সবুজের মধ্যে অন্যরকম এক মাত্রা যোগ করেছে।

দড়িসোম গ্রামের চলিস্নশোর্ধ্ব মুহাম্মদ আলামিন বলেন, আসলে এই সময়টাতে প্রকৃতিতে ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করে। বিশেষ করে সোনালু, কৃষ্ণচূড়া ও জারুলের রং আমাদের মনকে রাঙিয়ে যায়।

ভাদার্ত্তী গ্রামের গ্রামের ত্রিশোর্ধ্ব নুরুল ইসলাম বলেন, সড়কের পাশে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও জারুল গাছ লাগানো হলে সৌন্দর্য বাড়ার পাশাপাশি অবিচারে গাছ কেটে ফেলার ঘাটতি পূরণ হবে।

বোয়ালী গ্রামের ত্রিশোর্ধ্ব রনি হায়দার সুমন বলেন, ফুল আমার খুব প্রিয়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে প্রকৃতি সাজে নিজের মতো করে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত সুযোগ মত গাছ লাগানো। সেই ক্ষেত্রে সোনালু, কৃষ্ণচূড়া ও জারুল গাছ হলে মন্দ হয় না।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজী টুলু বলেন, আবেগের বশবর্তী হয়ে বিদেশি গাছ না লাগিয়ে, এলাকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ওই ধরনের গাছপালা লাগানো উচিত। সে ক্ষেত্রে সোনালু, জারুল বা ছাতিম গাছও হতে পারে। এতে করে গাছগুলো ফুল ফুটলে প্রকৃতি ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে