আজকের যায়যায়দিন

মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সাপের দংশনে ঝরে গেছে তাজা দুই প্রাণ। এর আগে থানার ভেতর সাপের উপদ্রব দেখা দিলে সাপ তাড়াতে ওঝা ডেকেছিল পুলিশ। এসব ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার এক কৃষকের ফসল ও লাকড়ি রাখার একটি ঘরের মেঝে খুঁড়ে ৩৬টি সাপের ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। সাপের এমন উপদ্রবে চিন্তিত হয়ে পড়েছে শরীয়তপুরের চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।

সোমবার বিকালে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নের ঢালী কান্দি গ্রামের দেওয়ান বাড়ির একটি ঘরের মেঝে থেকে ডিমগুলো উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, গত রোববার সখিপুর বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম মাদবরসহ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সখিপুরে সাপের দংশনে দুইজনের মৃতু্য হয়েছে। এর আগে, গত ২৫ মার্চ সখিপুর থানা ভবনসহ থানার আবাসিক এলাকায় সাপ ঢুকে পড়লে ওঝা ডেকেছিলেন থানার ওসি। এসব ঘটনার রেশ না কাটতেই সোমবার বিকালে চরভাগার ঢালী কান্দি গ্রামের দেওয়ান বাড়ির আকবর দেওয়ানের ফসল ও লাকড়ি রাখার একটি ঘরে ইঁদুরের গর্তে সাপ ও সাপের ডিম দেখতে পায় বাড়ির লোকজন। এরপর সাপ ও ডিম সরিয়ে নিতে স্থানীয় সাপুড়ে মিনু ঢালীকে খবর দেওয়া হয়। সাপুড়ে মিনু ঢালী এসে ওই ঘরটির মেঝে খুঁড়ে গর্ত থেকে একে একে বের করে আনেন ৩৬টি ডিম। সাপের এমন উপদ্রবে সখিপুরের নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের বাসিন্দারা চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। সখিপুরের জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা বাসিন্দাদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সাপুড়ে মিনু ঢালী বলেন, 'খবর পেয়ে দেওয়ান বাড়ির একটি ঘরের মেঝে খুড়ে ৩৬টি সাপের ডিম উদ্ধার করেছি। ডিমগুলো গোখরা সাপের বলে ধারণা করছি। আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সম্ভবত সাপ চলে গেছে। বর্তমানে সখিপুরে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। গতকালকেও আমি একজন সাপে কাটা লোকের জানাজা নামাজ পড়েছি।'

দেবিদ্বারে রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

বিষয়টি নিয়ে চরভাগা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জান শরীফ মাঝি বলেন, নদী বেষ্টিত এলাকা হওয়ায় এখানে সাপের উপদ্রব বেশি। সাপের উপদ্রব থেকে সচেতন থাকার জন্য আমরা হাট বাজারসহ ফেসবুকেও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতা ডা. সুমন পোদ্দার বলেন, সখিপুরসহ চরাঞ্চলে বর্তমানে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে এন্টিভেনম রয়েছে। সাপে কাটার পরে দ্রম্নত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। সাপের দংশন থেকে মুক্তি পেতে সচেতনতার বিকল্প নেই।