দুই পরিবারের ৭ সদস্য অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি

মোবাইল চার্জ দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে অপরিচিত নারী

প্রকাশ | ১৫ মে ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
অপারিচিত এক নারীকে ঘরে ঢুকে মুঠোফোন সেটে চার্জ দেওয়ার জন্য সুযোগ দিয়ে নোয়াখালী সদর ও লক্ষ্ণীপুরের কমলনগর উপজেলার দুই পরিবারের ৭ সদস্য অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাড়ির লোকজনকে অচেতন করার পর আলমিরা ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও কয়েকটি মোবাইল ফোন সেটসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকালে অচেতন ব্যক্তিদের ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর আগে সোমবার রাতে লক্ষ্ণীপুরের কমলনগর উপজেলার চরবসু গ্রামের ইসমাইল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন ব্যক্তিদের খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক খাওয়ানো হয়েছে বলে ধারণা চিকিৎসকের। হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তিরা হলেন- নোয়াখালীর সদর উপজেলার উত্তর শুলস্নকিয়া গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে আসিব (২২), আবু জাকেরের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৭০), চর কাউনিয়া গ্রামের চুন্নু মিয়ার ছেলে আমিন উলস্না (৬০), লক্ষ্ণীপুরের কমলনগরের চরবসু গ্রামের ইসমাইলের ছেলে দিদার হোসেন (৩২), দিলালের মেয়ে পলি আক্তার (১৭), মোদাব্বের হোসেনের স্ত্রী শামছুর নাহার (২১) ও নাজিম উদ্দীনের স্ত্রী তানহা বেগম (২৫)। পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, নোয়াখালীর সদর উপজেলার উত্তর শুলস্নকিয়া গ্রামের আবু জাকেরের পরিবারের সদস্যরা সোমবার দুপুরে লক্ষ্ণীপুরের কমলনগর উপজেলার চরবসু গ্রামে এক আত্মীয়ের মৃতু্যর খবর পেয়ে তার দাফনকাজে যোগ দিতে যান। দাফন শেষে পাশে অপর আত্মীয় ইসমাইল মিয়ার বাড়িতে ওঠেন তারা। সেখানে দুপুরের দিকে অপরিচিত এক নারী মোবাইলে ফোনে চার্জ দেওয়ার কথা বলে ওই বাড়িতে যায়। ওই নারী বসতঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর খাবার খেয়ে বাড়ির সবাই একে একে অচেতন হয়ে পড়েন। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ি থেকে নগদ টকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নিয়ে যায়। ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ইসতিয়াক জানান, অচেতন অবস্থায় ভর্তি রোগীদের অবস্থা উন্নতির দিকে। তাদের খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক খাওয়ানো হয়েছে বলে ধারণা তাদের। এ ব্যাপারে নোয়াখালী সদর সারেকেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোরতাহিন বিলস্নাহ জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।