আজকের যায়যায়দিন

তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ের কারণে ক্লাসে যখন বসাই যায় না, তখন শিক্ষার্থীদের নিয়মিত গাছতলায় ক্লাস নিচ্ছেন আনোয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লুৎফা আক্তার হলি।

মঙ্গলবার দুপর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত তৃতীয় শ্রেণির অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীদের গাছতলায় পাঠদান নিতে দেখা যায়। গরমের মধ্যে গাছতলায় পাঠদান করে শিশুরাও খুশি।

গত সপ্তাহে দেশব্যাপী তীব্র গরমে অসহনীয় হয়ে পড়ে সবকিছু। এরপর গত কয়েকদিন দেশব্যাপী কিছুটা বৃষ্টিপাত হলে স্বস্তি ফিরে সারাদেশে। এ অবস্থার মধ্যে গত পরশু থেকে হঠাৎ আবার তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে দেখা দেয় অসহনীয় গরম। বর্তমান সময়ে লোডশেডিং আর তীব্র গরমে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে চায় না। বিদ্যালয়ে যারা উপস্থিত হয় তারাও গরমে হাঁসফাঁস করে। এ অবস্থায় শ্রেণিকক্ষ থেকে শিশুদের গাছতলায় এনে পাঠদান দিচ্ছেন শিক্ষিকা যাতে গরমের কারণে শিশুদের শারীরিক কোনো অসুবিধে না হয়।

আনোয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লুৎফা আক্তার হলি বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে শ্রেণিকক্ষে বসাই যায় না। সেই সঙ্গে লোডশেডিং তো আছেই। যতদিন অসহনীয় গরম থাকবে ততদিন গাছতলায় শিক্ষার্থীদের তিনি পাঠদান করাবেন বলে জানান।

পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে ২২শ' হেক্টর জমির ফসল

আনোয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কেচমেন্ট এলাকার ছাত্র অভিভাবক মিলন তালুকদার বলেন, গরমের মধ্যে শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে চায় না। এত গরমের মধ্যে যদি বিদু্যৎ না থাকে তাহলে গাছতলায় বসে ক্লাস নিলে শিশুদের কিছুটা স্বস্তি মিলবে।

আনোয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আসমিনা বেগম বলেন, তীব্র গরমের কারণে শিশুরা অতিরিক্ত ঘেমে ক্লান্ত হয়ে যায়। গরমের মধ্যে আমার ওই শিক্ষক গাছতলায় ক্লাস নেয়। আমি তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।