নবীনগরে ফসলি জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ, সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশ | ১৫ মে ২০২৪, ০০:০০

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় রাতের আঁধারে জোরপূর্বক নতুন সড়ক তৈরি করতে তিন ফসলি প্রায় ৪০ বিঘা জমি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। সরকারি অনুমোদন কিংবা সরকারি কোনো একোয়ারভুক্ত জায়গা না হওয়া সত্ত্বেও চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা বলে এসব জমি কাটা হচ্ছে। এ বিষয়ে গত সোমবার ফসলি জমি কেটে সড়ক নির্মাণ কাজের উপর ১৪৪ ধারা জারি করেন হাইকোর্ট। এর আগে গত ৯ মে জমির মালিকরা বাদী হয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এছাড়াও গত ২৮ এপ্রিল জমির মালিকরাসহ বহু কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তারপরও রাতের আঁধারে জমি কাটা অব্যাহত আছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রসুলস্নাবাদ ইউনিয়নের রসুলস্নাবাদ বাজারের পূর্ব পাশের বিলে চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন কোনো নোটিশ ও জমি অধিগ্রহণ এবং জমির মালিকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই কতিপয় ব্যক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে অন্তত ৪০ বিঘা ফসলি জমি কেটে ফেলেছেন। জমির মালিকদের দাবি- পাশের আরেকটি জরাজীর্ণ রাস্তা মেরামত না করে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত স্বার্থে কৃষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে প্রায় ২৫ জন কৃষকের বেঁচে থাকার সম্বল তিন ফসলি জমি কেটে নতুন রাস্তা তৈরি করছেন। এ বিষয়ে রসুলস্নাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যন খন্দকার মনির হোসেন বলেন, 'রাস্তা ১৫ দিন আগেই নির্মাণ হয়ে গেছে, আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারির বিষয়ে আমি অবগত নই।' এছাড়া তিনি বলেন, 'নতুন রাস্তার পাশে আরেকটি পুরাতন রাস্তা রয়েছে এটি সত্য নয়। প্রয়োজনে আপনারা এসে দেখেন।'