জাতীয় তথ্য বাতায়নে তথ্য পাচ্ছেন না চাটখিলবাসী

প্রকাশ | ১৫ মে ২০২৪, ০০:০০

চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
জাতীয় তথ্য বাতায়নে তথ্য পাচ্ছেন না নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন লাখ জনসাধারণ। জাতীয় তথ্য বাতায়নের চাটখিল উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর ও ইউনিয়ন পরিষদ এবং চাটখিল পৌরসভার পোর্টালে গিয়ে দেখা যায়, এসব পোর্টালে যথাযথ তথ্য নেই। কিছু তথ্য থাকলেও তা ভুলে ভরা। চাটখিল উপজেলা প্রশাসন ওয়েব পোর্টালে গিয়ে দেখা যায়, (ওয়েব পোর্টালে প্রবেশের স্কিন ভিডিও প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষণ করা আছে) উপজেলা পরিষদের সাংগঠনিক কাঠামো বিবরণীতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সভাপতি, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ৯ জন চেয়ারম্যান সদস্য হিসেবে রয়েছেন। তবে অবাক করার বিষয় গত ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক নম্বর সাহাপুর ইউনিয়নে আবদুলস্না খোকন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও তার নাম উপজেলা সাংগঠনিক কাঠামোতে অন্তর্ভু করা হয়নি। সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার কাজলের নাম রয়েছে। একইভাবে দুই নম্বর রামনারায়ণপুর ইউনিয়নে হারুনুর রশিদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেখানে সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরীর নাম বিদ্যমান, পাঁচ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে মেহেদী হাসান বাহালুর নির্বাচিত হলেও তার পরিবর্তে সাবেক চেয়ারম্যান মো. সহিদ উল্যার নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া অর্থ, বাজেট, পরিকল্পনা ও স্থানীয় সম্পদ আহরণ কমিটির কার্য বিবরণীতে জালিয়াতি স্পষ্ট প্রতীয়মান। দুই নম্বর রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলমকে এই কমিটির সদস্য দেখিয়ে তার স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে গত বছরের ১০ আগস্ট অনুষ্ঠিত সভার কার্য বিবরণী অনুমোদন হয়। অথচ শাহ আলম গত ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হন। এই ইউনিয়নে তখন হারুনুর রশিদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক কামাল সামছুল ইসলাম বদলি ও ডুপিস্নকেট মেশিন অপারেটর বেলায়েত হোসেন অবসরে গেলেও তাদের নাম ওয়েব পোর্টালে কর্মচারী হিসেবে এখনো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চাটখিল থানার ওসি আবুল খায়ের এবং ওসি (তদন্ত) হুমায়ন কবির প্রায় দুই বছর আগে বদলি হলেও ওয়েব পোর্টালে তাদের দায়িত্বরত দেখাচ্ছে। অপরদিকে উপজেলা তথ্যকেন্দ্রের ওয়েব পোর্টালে কোনো তথ্য নেই। উপজেলা পলস্নী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা প্রীতি রঞ্জন নাথ এক বছর আগে বদলি হলেও নতুন কর্মকর্তার নাম-পরিচয় ওয়েব পোর্টালে নেই। উপজেলা পলস্নী উন্নয়ন কর্মকর্তা এবিএম কামরুজ্জামানও তিন বছর আগে বদলি হয়ে যান। তবে উপজেলা পলস্নী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ওয়েব পোর্টালে তার ব্যক্তিগত নম্বর ও নাম-পরিচয় এখনো বিদ্যমান। একইভাবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যায়ের ওয়েব পোর্টালের নম্বরটি বন্ধ। তবে এখানেও সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেনের পরিচয় রয়েছে। উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের ওয়েব পোর্টালে দেওয়া কর্মকর্তার নম্বরে কল দিলে এক নারী ফোন রিসিভ করে জানান, এটি ভুল নম্বরে কল দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের নম্বরটিও। এ ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম ও মৃতু্য নিবন্ধন আবেদন করতে গিয়ে দেখা যায়, সাবেক চেয়ারম্যানদের এখনো নিবন্ধক হিসেবে দেখানো হচ্ছে। দায়িত্বরত ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা সাবেক চেয়ারম্যানদের নামের ওপরই স্বাক্ষর করেন। এ বিষয়ে এক নম্বর সাহাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল্যা খোকন বলেন, তিনি এখন কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। দুই নম্বর রামনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বাহারকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি এবং পাঁচ নম্বর মোহাম্মদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুলকে ফোন দিলে তিনি সংযোগ কেটে দেন। চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দীন জানান, তিনি এক মাস আগে চাটখিলে যোগদান করেছেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রম্নত সমাধানের চেষ্টা করবেন।