সারিয়াকান্দিতে জনপ্রিয়তা বাড়ছে পেনশন স্কিমের

প্রকাশ | ১৩ মে ২০২৪, ০০:০০

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় প্রতিদিনই সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করতে চরাঞ্চল ও গ্রাম-মহলস্না থেকে ছুটে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে করে জাতীয় পেনশন স্কিমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেনশন স্কিমের সুবিধার কথা অনুধাবন করতে পেরে স্থানীয়দের মধ্যে এর আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করে যাচ্ছে সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে উপজেলার বেশ কিছুসংখ্যক বাসিন্দা পেনশন স্কিম চালু করেছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়ে জানা যায়, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সি সব বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। তবে, বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকরা ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাঁদা দিলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। এছাড়া পেনশন স্কিমে ৪টি ক্যাটাগরি রয়েছে। যেখানে প্রগতি, সমতা, প্রবাস এবং সুরক্ষা স্কিম। সাধারণত প্রগতি স্কিমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং কর্মচারীরা এই স্কিম গ্রহণ করতে পারবেন। যেখানে মাসিক চাঁদার হার ২০০০, ৩০০০ এবং ৫০০০ টাকা। এছাড়া সমতা স্কিমে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী যাদের বাৎসরিক আয় অনূর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা তাদের মাসিক চাঁদা ১০০০। তার মধ্যে ৫০০ টাকা নিজের এবং ৫০০ টাকা সরকার দেবে। প্রবাস স্কিম সাধারণত প্রবাসীদের জন্য। প্রবাস স্কিমে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা প্রদানে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। এ প্রণোদনার অর্থ তার চাঁদা হিসাবে জমা হবে এবং সবশেষে রয়েছে সুরক্ষা স্কিম। এই স্কিমে কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, গৃহিণী, তাঁতিসহ সব অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত ব্যক্তি নির্ধারিত হারে চাঁদা দিয়ে এতে যুক্ত হতে পারবেন। মাসিক চাঁদার হার ১০০০, ২০০০, ৩০০০ ও ৫০০০ টাকা। এছাড়া সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত হেল্পডেস্ক চালু হয়েছে। সেখানে পেনশন স্কিম চালু থেকে শুরু করে যেকোনো বিষয়ে সেবা পাওয়া যাচ্ছে। সারিয়াকান্দি বোহাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদ খান বলেন, 'আমি নিজে সর্বজনীন পেনশন স্কিম করেছি। এটা সরকারের একটি মহতী উদ্যোগ। জীবনের শেষ বয়সে কর্মক্ষমতা যখন কমে যাবে তখন আমরাও সরকারি চাকরি না করে পেনশন পাব। আমি আমার ইউনিয়নের সবাইকে এ পেনশন স্কিমের আওতায় আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।' সারিয়াকান্দি উপজেলা কর্নিবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দীপন বলেন, 'এটি এ সরকারের একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। সর্বজনীন পেনশন স্কিম করলে সঠিকভাবে ১০ বছর টাকা রাখতে পারলে ৬০ বছর বয়সের পর বৃদ্ধ বয়সেও কারো উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না। এজন্য আমি নিজে করেছি এবং আমার ইউনিয়নবাসীকে করতে উদ্বুদ্ধ করছি।' সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান বলেন, 'উপজেলার বাসিন্দাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়ত অবগত করছি। এতে দিন দিন তাদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। ইতিমধ্যে উপজেলার অনেকেই এই সেবা গ্রহণ করেছেন। আশা করবো, দ্রম্নত এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাও সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় চলে আসবে।'