শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১
চরম দুর্ভোগে পথচারী ও এলাকাবাসী

গোবিন্দগঞ্জে মহাসড়ক সম্প্র্রসারণ কাজে বাড়ছে শব্দ ও বায়ুদূষণ

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
  ১৩ মে ২০২৪, ০০:০০
গোবিন্দগঞ্জে মহাসড়ক সম্প্র্রসারণ কাজে বাড়ছে শব্দ ও বায়ুদূষণ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক সম্প্রসারণের জন্য অধিগ্রহণের আওতায় মহাসড়কের দুই ধারের বিল্ডিংসহ ভেঙে ফেলা হচ্ছে শতাধিক স্থাপনা। নিয়ম না মেনে এসব স্থাপনা একসঙ্গে ভেঙে ফেলায় শহরের মধ্যে ভাঙন যন্ত্রের শব্দে আর ধূলাবালিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী, সাধারণ মানুষ ও এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় বিল্ডিং ভাঙার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা রয়েছেন নিরাপত্তা ঝুঁকিতে।

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। এজন্য চলমান রয়েছে গোবিন্দগঞ্জ শহর এলাকার মহাসড়কের দু'ধারের জমি অধিগ্রহণ ও সম্প্রসারেণ কাজ। যে কারণে মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ শহরের দুপাশের প্রায় শতাধিক বিল্ডিংসহ নানা স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এসব বিল্ডিং ভাঙন কাজে কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো অধিগ্রহণ হওয়া বিল্ডিংসহ এসব স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। বিল্ডিং ও স্থাপনা ভেঙে ফেলা কারণে সারাদিন এ কাজে ব্যবহৃত নানা যন্ত্রপাতির বিকট শব্দে যেমন শব্দদুষণ হচ্ছে, তেমনি ভাঙার সময় ইট, সিমেন্টের গুঁড়োমিশ্রিত ধুলাবালি পার্শ্ববর্তী এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে বাড়িঘরে রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে পরছে। এতে অতিষ্ট এলাকাবাসী পথচারী ও সাধারণ মানুষ। সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় ইট-বালি ছিটকে আসে এই আশঙ্কা নিয়ে রাস্তা চলাচল করছে পথচারীরা।

ভুক্তভোগী মহিমাগঞ্জ মানিক সাহা বলেন একসঙ্গে শহর জুরে সব বিল্ডিংসহ নানা স্থাপনা ভাঙার কাজ করছে ভবন মালিকরা। এ কারণে এলাকাটি এখন ধুলাবালির শহরে পরিণত হয়েছে। রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। ইট, সিমেন্ট মিশ্রিত গুঁড়া আর ধুলোবালি নাকে-মুখে ঢোকায় শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগের আশঙ্কাও করছেন তারা।

তবে বেশির ভাগ ভবন মালিক বলছেন তাদের জমি অধিগ্রহণ করা হলেও এখনো বেশিরভাগ ভবন মালিক জমি ও অবকাঠামোর অর্থ হতে পাননি। তাই তারা নিজেদের সাধ্যমতো কাজ করছেন। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণের আওতায় থাকা স্থাপনা অপসারণে অভিযান পরিচালনা করায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

খোলা আকাশের নিচে প্রচন্ড রোদের কারণে গরমে শরীরে কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান ভবন ভাঙার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক সোবাহান। তিনি বলেন, জীবন-জীবিকার কারণে বাধ্য হয়ে কাজ করতে হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে