পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাকী বিলস্নাহ। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য মোকবুল হোসেনের পুত্র সাবেক পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনাইন রাসেলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। রোববার দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাকী বিলস্নাহ।
তিনি বলেন, 'উপজেলা নির্বাচনে পাবনা ৩ আসনের সংসদ সদস্য মোকবুল হোসেনের পুত্র, গোলাম হাসনাইন রাসেল উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার, নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শন দেখানোর কারণে নির্বাচনের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। আমার কর্মী-সমর্থকরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না। এমপিপুত্র রাসেল ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। বাবা এমপি আর ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলে আমাদের মতো দীর্ঘদিনের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিক্ষীত ব্যক্তির জন্য জায়গা কোথায়?'
তিনি আরও বলেন, এমপি মোকবুল হোসেন ও তার পুত্র রাসেল রাজনীতিকে পরিবর্তন করে ফেলেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছি, বারবার লাঞ্ছিত হয়েছি। তখন এমপি মোকবুল ও তার পুত্র রাসেলের রাজনীতির কি পরিচয় ছিল? প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন এমপির স্ত্রী-সন্তানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবে না। তারপরও সেই ঘোষণা উপেক্ষা করে নির্বাচন করছেন রাসেল।'
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, 'গত সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করায় কিছু আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীর ওপরে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে, থানায় এসবের অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয়নি। উপজেলা নির্বাচনে আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে আমার কর্মীরা হতাশাগ্রস্ত। এমন পরিস্থিতিতে আমার নির্বাচন করা মোটেও সম্ভব না। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।'
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা, হাসিনুর ইসলাম, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনায়েন রাসেল বলেন, শেষ সময়ে এসে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো অসাংবিধানিক। তিনি ইতোমধ্যে কর্মিশূন্য হয়ে পড়েছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন নির্বাচন কমিশন তথা সংশ্লিষ্ট দপ্তর।'
তিনি সরেজমিন এলাকা ঘুরে যাওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, 'মিথ্যাচারের কিছু সীমা থাকে, সেটা তিনি অতিক্রম করে গেছেন। গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কাজ করে নিজেই দল থেকে ছুটে গেছেন।'