প্রাচীন মসজিদের সন্ধান মিলল টেকনাফে

সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের

প্রকাশ | ১২ মে ২০২৪, ০০:০০

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফে ঝোপঝাড়ে সন্ধান মেলা লতাপাতাবেষ্টিত প্রায় আড়াইশ' বছর আগের প্রাচীন মসজিদ -যাযাদি
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের বাহারছড়া মাথা ভাঙা মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ঝোপঝাড়ে লতাপাতায় বেষ্টিত প্রায় আড়াইশ' বছর আগের প্রাচীন একটি মসজিদের সন্ধান মিলেছে। অযত্নে অবহেলায় দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকা এই মাসজিদটি ইংরেজ আমলে স্থানীয় জৈনক ফজলুর রহমান মিয়াজী নামক এক ব্যক্তি নির্মাণ করেছিলেন। প্রায় শত বছর দেখাশোনার পর পরবর্তী সময়ে ফজলুর রহমান মিয়াজী সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা শরীফে হজ্জ করতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। তার অবর্তমানে তারই জামাতা হাজি আব্দু শুক্কুরও প্রায় ৮০ থেকে ৯০ বছর মসজিদের খাদেম হিসেবে দেখভাল করেন। বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়, বাহার ছড়ার এই এলাকায় মানুষের বসবাস শুরু হয়েছিল মূলত ১৭৭৭ সালের পরে। সেই সময় এলাকায় এই মসজিদটিই প্রথম জুমা মসজিদ হিসেবে পরিচিত ছিল। স্থানীয় প্রবীণ মুরব্বি সেলিম উলস্নাহ জানান, ছোটকাল থেকেই মসজিদটি তারা এভাবেই দেখে আসছেন। মূলত ১৯৯১ সালে মহা ঘুর্ণিঝড়ে মসজিদটি ভেঙে পড়ে। তারপর থেকে এভাবেই পড়ে আছে মসজিদটি। পুরাকালীন এই মসজিদের প্রস্থ আনুমানিক ১৬ ফিট ও দৈর্ঘ প্রায় ২০ ফিটের মত। মসজিদটির দক্ষিণে রয়েছে দুইটি গম্বুজ এবং উত্তরে রয়েছে উঁচু একটি মিনার। দক্ষিণে ও উত্তরে দুইটি করে জানালা রয়েছে। পূর্ব অংশের দেয়ালটি পুরো ভাঙা অবস্থায় আর পশ্চিমে মেহরাবের পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণে একটি করে দুইটি জানালা আছে। মসজিদ নির্মাণে যে কংক্রিট ব্যবহার করা হয়েছে তা সাধারণ ইটের নয়, তা মূলত পাথারের কংক্রিট। এসব কংক্রিট পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত পাহাড়ি খালের পাথরের কংক্রিট বলে ধারণা করা হচ্ছে। মানে সিলেটের পাথরের মত। স্থানীয়দের দাবি পর্যটন শিল্পের সম্ভবনাময় মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন প্রাচীন এই মসজিদটি সংস্কার করে দর্শনীয় স্থান হিসেবে পুননির্মাণ করলে পর্যটক আকর্ষণ বাড়বে। সেই সঙ্গে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করে দিতে সরকারের প্রতি জোরালো আবেদন জানান স্থানীয় সুধী মহল।