হত্যা মামলা না নেওয়ায় ময়না তদন্তের দাবি

গাইবান্ধায় লাশ চুরির ভয়ে দল বেঁধে রাত জেগে কবর পাহাড়া

প্রকাশ | ১১ মে ২০২৪, ০০:০০

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার বলস্নমঝাড় ইউনিয়নের দক্ষিণ কুমরপুর গ্রামে নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ায় ওই গ্রামের অধিবাসীরা নিহতের লাশ কবর থেকে উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের দাবিতে দল বেঁধে কবর পাহাড়া দিচ্ছে। এ বিষয়ে শনিবার গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে নিহতের স্বজন ও ওই গ্রামের অধিবাসীরা এক সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও থানায় মামলা নেওয়ার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বড়ভাই মোশারফ হোসেন বলেন, সদর উপজেলার দক্ষিণ কুমরপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে অনার্স তৃতীয়বর্ষের ছাত্র সাদিক হোসেনকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত ১৯ মার্চ সাদিককে বেড়ানোর কথা বলে একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ী গ্রামের মো. আকাশ ও তার বাবা সাজু মিয়া নিয়ে যায়। এর এক ঘণ্টা পর সাজু খবর দেয় সাঘাটা উপজেলার ভাঙ্গামোড় সাধুর আশ্রম নামে এলাকায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় সাদিক ও আকাশ গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। পরিবারের লোকজন সদর হাসপাতালে এসে সাদিককে আহত অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে দেখতে পায়। এসময় সাজু কৌশলে সাদিককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কথা বলে পলাশবাড়ী উপজেলায় নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসককে ডেকে তাকে মৃত ঘোষণা করে। সাদিকের লাশ বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়। পরে তার পরিবার জানতে পারে সাজুর ছেলে আকাশ আহতও হয়নি, মারাও যায়নি। এমনকি তখন থেকেই সাজু মিয়া ও তার ছেলে আকাশ পলাতক রয়েছে। পরে সাদিকের মৃতু্যটি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রথমে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ না নিয়ে সাঘাটা থানায় পাঠায়। সাঘাটা থানায় গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে তালবাহানা করে। আবার থানায় গিয়ে সাদিকের লাশ ময়নাতদন্ত ও মামলা করতে গেলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। অন্যদিকে সাজু হত্যা মামলা না করার জন্য তার লোকজন দিয়ে নিহতের পরিবারকে হত্যা, গুম করাসহ নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কবর থেকে লাশ চুরির হুমকি দিয়ে আসছে। ফলে নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসী রাত জেগে সাদিকের কবর পাহাড়া দিচ্ছে। তাই সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপারের মাধ্যমে হত্যাকান্ডে জড়িত আকাশ, সাজু মিয়াসহ দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং মামলা নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান। সম্মেলনে বক্তব্য দেন নিহত সাদিকের মা জেলেখা বেগম, মামা আব্দুল জোব্বার, বড়ভাই জুয়েল মিয়া, রাশেদ মিয়া, মন্টু মিয়া, রুবেল মিয়া, লাখি বেগম, ছাত্তার মিয়া, নাসরিন বেগম প্রমুখ।