স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও বিদু্যৎ বঞ্চিত দুই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

প্রকাশ | ১১ মে ২০২৪, ০০:০০

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
'দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। সেদিন বেঁচে ফিরব কিনা জানতাম না। চোখের সামনে অনেক সাথীকে হারিয়েছি। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমি বিদু্যৎ পাই না। এ বয়সে গরম সহ্য করতে পারি না।' দুই চোখের জল ফেলে দিয়ে কথাগুলো বলছিলেন গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের ফুকরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামচুল আলম। তিনি আরও বলেন, 'সবাই যখন বিদু্যতের ফ্যানের বাতাস খায় আমি তখন বৃদ্ধ বয়সে গরমে ছটফট করি। আমার চোখের জল দেখার মতো কেউ নেই। সামান্য বাধার কারণে আমি আজ বিদু্যৎ থেকে বঞ্চিত।' মুক্তিযোদ্ধা শামচুল আলমের প্রতিবেশী বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত- হাসমত আলী শেখের স্ত্রী ৬১ বছর বয়সি সালমা বেগম ঠিক একইভাবে অভিযোগ করে বললেন, 'আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে আমি ও সন্তানরা বিদু্যতের আলো থেকে বঞ্চিত। পাঁচ বছর আগে আমাদের মোট চারটি পরিবারের বিদু্যৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য দুটি খুঁটি পোতা হলেও আজ পর্যন্ত আমরা সংযোগ পাইনি।' প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি দুই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও তাদের প্রতিবেশী আতিয়ার রহমান শেখ এবং গোলাপ শেখের বাড়িতে সংযোগ দিতে দুটি খুঁটি স্থাপন করে। বিদু্যতের তার টানাতে গেলে প্রভাবশালী গাউজ শেখ বাধা সৃষ্টি করে। তাদের প্রতিবেশী মিজানুর রহমান জানান, রাস্তার পাশে গাউজ শেখের একটি আম গাছের ডালের ভেতর দিয়ে তার নেওয়া গেলেই ওই চার পরিবার বিদু্যৎ পেতে পারে। কিন্তু গাউজ শেখ ও তার লোকজন বিদু্যতের তার টানাতে বাধা সৃষ্টি করে। এ ব্যাপারে পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির রামদিয়া জোনের এজিএম আকরাম হোসাইন বলেন, 'স্থানীয় বাধার কারণে আমরা তার টানাতে পারিনি। তবে বাধা না থাকলে এর দ্রম্নত সংযোগ দিতে পারব।'