শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১

রংপুরে দুই বীর ঙ্গনার নামে হচ্ছে দুটি সরকারি কলেজিয়েট স্কুল

রংপুর প্রতিনিধি
  ১১ মে ২০২৪, ০০:০০
রংপুরে দুই বীর ঙ্গনার নামে হচ্ছে দুটি সরকারি কলেজিয়েট স্কুল

রংপুরে দুই বীরঙ্গনার নামে দুটি সরকারি কলেজিয়েট স্কুল স্থাপন করা হচ্ছে। এর একটি নগরীর উত্তম এলাকায় বীরঙ্গনা রুপালী রানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নগরীর কামাল কাছনা বোতলা এলাকায় বীরঙ্গনা মনসুরা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বালক ও বালিকা একসঙ্গে লেখাপড়া করতে পারবে।

রংপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র মতে, দরপত্রে ঢাকার এসএসএল-এসই-এমএ (জিভি) ও বিল্ডার্স সিডবিস্নউবিডি লতিফ (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২২ সালে কার্যাদেশ পায়। নির্মাণকাজ শেষ করতে তাদের সময় দেওয়া হয় তিন বছর। তবে কার্যাদেশ পাওয়ার এ দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে বিলম্ব করে। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, নির্মাণসামগ্রী বৃদ্ধিতে তারা কাজ শুরু করতে দেরি করে। এমনকি কামালকাছনা এলাকার স্কুলটি ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনীহা দেখালে স্থানীয় ঠিকাদার রাজু আহমেদ স্কুলটির নির্মাণকাজ করে দেওয়ার জন্য আগ্রহী হয়। ইতোমধ্যে এ দুটি স্কুলের প্রথম তলার ছাদ ঢালাইয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে নির্মাণাধীন এ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাদ ঢালাই দেওয়ার কথা রয়েছে। ছাদ ঢালাই হয়ে গেলে শতকরা ২০ ভাগ কাজের অগ্রগতি হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।

এদিকে, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য রংপুর এসেছিলেন প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক রায়হানা তসলিম। তিনি এ সময় প্রকল্পের কাজ দ্রম্নত শেষ করার তাগিদ দেন। পরে ২৮ এপ্রিল এ নিয়ে ঢাকায় প্রকল্প পরিচালক, উপ-প্রকল্প পরিচালক ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় আগামী বছর জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ ও ২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ভর্তিসহ ক্লাস শুরু করার। বিষয়টি স্থানীয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি যায়যায়দিনকে অবগত করেছেন রংপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান। তিনি এ দুটি নির্মাণাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেখভাল করছেন।

রংপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আখতারুজ্জামান জানান, ৯টি সরকারি মা্যধমিক স্কুল স্থাপন প্রকল্পের কাজ দ্রম্নত এগিয়ে চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার জন্য তিনি আশাবাদী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে