ইটভাটার ধোঁয়ায় ঝলসে গেছে ৬০ একর ধানক্ষেত

প্রকাশ | ১১ মে ২০২৪, ০০:০০

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ইট ভাটার কালো ধোঁয়ায় পুড়ে যাওয়ায় ধান -যাযাদি
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে তিনটি ইট ভাটার কালো ধোঁয়া ও গরম বাতাসে প্রায় ৬০ একর বোরো ধান ক্ষেত ঝলসে গেছে। এতে চরম বিপদে পরেছেন প্রায় অর্ধশত ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কৃষি বিভাগ। পীরগঞ্জ পৌর শহরের গুয়াগাঁও গ্রামের ফসলি জমির আশপাশে ঢাকাইয়া শহজাহান, বেলাল ও আকবর আলী নামে তিন ব্যক্তি তিনটি ইটভাটা গড়ে তুলেছেন। তাদের ভাটার কালো ধোঁয়া ও গরম বাতাসে পরিবেশ দুষণের পাশাপাশি আশপাশের ফসল ও আম বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এর প্রতিকার পেতে বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। ফসল হারানোর শংকায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা। কৃষক অহিদুল, শাহজাহান, বাদলসহ অনেকে জানান, ধারদেনা করে তারা তাদের বোরো ধান ক্ষেত আবাদ করেছিলেন। এখন ধানের শীষ বের হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঠিক এই সময়ে ভাটার কালো ধোঁয়া আর গরম বাতাসে তাদের ধানের পাতা ঝলসে হলুদ হয়ে গেছে। আর যেসব ধানের শীষ বের হয়েছে তার সবটাই চিটা হয়ে গেছে। শীষে কোন ধান নেই। এ অবস্থায় চরম দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন পৌর কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ। তিনি বলেন, 'অনেকে ধার করে বোরো ধান আবাদ করেছেন। ইটভাটার কারণে তাদের ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।' এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষি বিভাগ মাঠ পরিদর্শন করে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন রায়। তিনি বলেন, 'তাপের কারণে ফসলের এমন অবস্থা হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা তারা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। এ বিষয়ে ইটভাটা মালিকরা কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এদিকে ফসলি জমির ইটভাটগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আরো ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষি অর্থনীতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। তাই এসব ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার কৃষক সমাজ।