পাবনার ঈশ্বরদীতে বৈদু্যতিক তার টানার অজুহাতে ঠিকাদারের লোকজন ধারালো কুঠাড় ও করাত দিয়ে ফলজ এবং বনজ গাছগুলোর ডালপালা ছাঁটাইয়ের নামে মাঝ বরাবর কাটছে নির্বিচারে। এতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ পাবনার কোন তদারকি না থাকায় যেন দেখার কেউ নেই।
বুধবার সকালে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের হাড়ুখোলায় (সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং রেশম গবেষণা এলাকার) মহাসড়কের দুইপাশে সওজের গাছগুলো এভাবে কাটার চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎ প্রকল্পের জন্য ঈশ্বরদী থেকে বগুড়ার জন্য বেশ কয়েকটি বৈদু্যতিক লাইন টানা হচ্ছে। এ জন্য বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তি মালিকানাসহসহ সওজের বেশ কিছু বনজ বৃক্ষের ডালপালা কাটার নামে গাছের মাঝ বরাবর পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে শুকনো মৌসুমে ডালপাতাহীন গাছগুলো শুকিয়ে মারা যেতে শুরু করেছে। গাছের এই কান্না যেন চোখে পড়ছে না সওজ বিভাগের কর্মকর্তাদের।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, বৈদু্যতিক তার টানার জন্য গাছগুলো যেভাবে কেটেছে সেভাবে না কাটলেও পারত। অহেতুক গাছগুলো অমানবিকভাবে কাটা হয়েছে। সওজ কর্মকর্তারা যদি গাছ কাটার বিষয়ে তদারকি করতেন তাহলে ঠিকাদারের লোকজন হয়তো ডাল ছাঁটার নামে এভাবে গাছগুলোর মাঝ বরাবর কেটে মেরে ফেলতে পারত না। বৈদু্যতিক তার টানার শ্রমিকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তার টানার সুবিধার জন্য বড় গাছের ডাল কেটে ফেলতে হচ্ছে। ওপরে উঠে ডাল কাটা ঝুঁকি হওয়ায় নিচ থেকেই গাছের মাঝ বরাবর কাটা হয়েছে। তবে এভাবে গাছ কেটে ফেলার জন্য সওজ কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি ঠিকাদার নিয়েছেন কিনা তা তাদের জানা নেই।
সওজ বিভাগ পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর আহমেদ জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎ প্রকল্পের জন্য কিছু গাছের ডাল কাটবে বলে ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ওই স্থানে যেভাবে গাছগুলো কাটা হয়েছে তা ঠিক হয়নি। বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হবে।