মুক্তাগাছায় পলস্নীবিদু্যৎ সমিতিতে কর্মবিরতি, সেবাবঞ্চিত গ্রাহক
প্রকাশ | ০৯ মে ২০২৪, ০০:০০
মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ পলস্নীবিদু্যৎ সমিতিতে পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ড ও পলস্নীবিদু্যৎ সমিতির অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি টানা চতুর্থ দিনের মতো পালিত হয়েছে। এতে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি সেবাগ্রহিতারাও সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
বুধবার সকাল থেকে ময়মনসিংহ পলস্নীবিদু্যৎ সমিতির-১ এর সদর দপ্তরের অভ্যন্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানারে এ কর্মবিরতি কার্যক্রম চলে।
কর্মবিরতির মধ্যেই তারা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন পলস্নীবিদু্যৎ সমিতির ডিজিএম মাজহারুল ইসলাম, ডিজিএম (মধুপুর) রুহুল আমীন, এজিএম (আইটি) প্রসেনজিৎ তরফদার, জুনিয়র আইটি ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান, লাইনম্যান বুলবুল আহমেদ, বিলিং সহকারী শাহনাজ আফরিন, মিটার রিডার নিয়ামত উলস্নাহ, লাইন ক্রু মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশে বৈষম্যের স্থান নাই; বৈষম্য নিপাত যাক, পলস্নীবিদু্যৎ সমিতি মুক্তি পাকসহ বিভিন্ন স্স্নোগানে ঘণ্টব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা বিদু্যতায়ন বোর্ড ও পলস্নীবিদু্যৎ সমিতিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চলমান বৈষম্য দূর করার দাবি জানান।
আন্দোলনকারীরা বলেন, বিদু্যতায়ন বোর্ডের সাপ্তাহিত ছুটি শুক্র ও শনিবার দুই দিন থাকলেও পলস্নীবিদু্যৎ সমিতির কেবল শুক্রবার একদিন রাখা এবং বৃহস্পতিবার হাফ অফিসের কথা থাকলেও পুরো সময় অফিস করার বাধ্যবাধকতার যে বৈষম্য তা দূর করতে হবে। বিদু্যতায়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমান বিদু্যৎ বিল (৪০০ ইউনিট) দেওয়া হলেও পলস্নীবিদু্যৎ সমিতির জি এম, এজিএমদের জন্য ৪০০ ইউনিট আর সুপারভাইজার ও কর্মচারীদের ২০০ ইউনিট দেওয়া হয়, যা চরম বৈষম্যমূলক। পলস্নীবিদু্যৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদমর্যাদা (সরকার ঘোষিত গ্রেডিং ১-২০) ৬ মাস পিছিয়ে পে-স্কেল ও ৫% বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, এপিও বোনাস সমহারে না দেওয়া, লাইনম্যানদের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লাইনম্যান এবং বিলিং সহকারী পদায়ন না করা, যথাসময়ে পদন্নোতি না করা লাইনক্রু লেভেল-১ ও মিটার রিডার কাম-মেসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক), বিলিং সহকারী (কানামুনা) চাকরি নিয়মিত না করা, স্মারকলিপিতে অংশগ্রহণ করায় ভোলা পবিস-এর এজিএম (আইটি) ও এজিএম (অর্থ)-কে সাময়িক বরখাস্ত, সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ডিজিএম (কারিগরি) ও এজিএম (আইটি)-কে পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ডে সংযুক্ত করায় পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ডের শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ ও আধুনিক বিদু্যৎব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে বাপবিবো ও পবিস-এ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের জন্য এ কর্মবিরতি শুরু করা হয়েছে।
দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকাল চলবে বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।