বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষককে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা এবং ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রীর দেওয়া স্বীকারোক্তির বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. অলিউলস্নাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সাত সদস্যের ওই তদন্ত কমিটির সভাপতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আরিফ সাকিলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলম, একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন, কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির এবং মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. আজিমুন নাহার।
তদন্ত কমিটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বা সুপারিশ প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম ও কৃষি অনুষদে অধ্যয়নরত শেখ রোজী জামাল হলের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীকে হলে নিয়ে আসেন। পুরো ঘটনাটি শনিবার রাত ১০টা নাগাদ স্বীকার করে লিখিত স্বীকারোক্তি দেন ওই ছাত্রী। তবে এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।