অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার ভবন

৬ বছরেও চালু হয়নি আটঘরিয়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়

প্রকাশ | ০৮ মে ২০২৪, ০০:০০

আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রায় ৬ বছর আগে ১ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নির্মিত পাবনার আটঘরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০১৭ এ ভবনটি নির্মাণ করা হয়। শিক্ষক-কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় বিদ্যালয়টি চালু করা যাচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় ভবনটি এখন নষ্ট হওয়ার পথে। জনবলের অভাবে বিদ্যালয়টি অকেজো পড়ে আছে। সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাবনা জেলার ৯ উপজেলায় প্রায় সোয়া ৬ হাজার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ রয়েছেন শিক্ষার্থী। এদের অনেকেই আবার দরিদ্র ঘরের। সাধারণ বিদ্যালয়ে তাদের পাঠদান করানো সম্ভব হচ্ছে না। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হিসেবে তাদের পড়াশোনার সুযোগ দানের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করাতে হবে। এজন্য ২০১৭ সালে জেলার আটঘরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রায় ১ কেটি টাকা ব্যয়ে ১৫ শতাংশ জমির উপর দ্বিতল বিদ্যালয় ভবনটি নির্মিত হয়েছে। বিদ্যালয়টি চালুর আগেই আবাসিক শিক্ষক, বিষয়ভিত্তিক দক্ষ শিক্ষক, বাবুর্চি, প্রহরী, এমএলএসএসসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ সৃষ্টি করা হয়। তবে এসব সৃষ্ট পদে এত বছরেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন এই পদগুলো শূন্য থাকায় বিদ্যালয়টি আর চালু হচ্ছে না। শুধুমাত্র একজন নৈশপ্রহরী দেখভালের দায়িত্বে আছেন। স্থানীয়রা জানান, ভবনের কাজ হওয়ার পর কিছুদিন পর্যন্ত সমাজসেবা কার্যালয়ের লোকজনকে এখানে দেখা যেত। কোনো শিক্ষার্থীকে কোনোদিন এখানে আসতে দেখা যায়নি। দীর্ঘদিন ভবনটি তালাবদ্ধ থাকায় অযত্ন ও অবহেলায় প্রবেশপথে আবর্জনার স্তূপ জমেছে এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভবনটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সমাজসেবা দপ্তরের সহকারী পরিচালক জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়টি ভিন্নভাবে পরিচালনার জন্য চিন্তা করা হচ্ছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে, স্থানীয় বিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় লেখাপড়া করানো হবে। তিনি স্বীকার করেন, বিদ্যালয়েটির নির্মাণ কাজ ৬ বছর আগে শেষ হলেও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে বিদ্যালয়টি চালু হয়নি। তিনি আশ্বাস দেন, পূর্ণাঙ্গ লোকবল নিয়োগ হলেই বিদ্যালয়টি চালু করা সম্ভব হবে।