প্রতীক বরাদ্দের পর মাগুরার মহম্মদপুরের ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। প্রচন্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে তারা ছুটছেন গ্রাম-গ্রামান্তরে, ভোটার পানে। নানা প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে এসব প্রার্থীগণ ভোট প্রার্থণা করছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা ভোট প্রার্থণায় সময় পার করছেন। তফসিল অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে। গত ২ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহণ করছেন ৭ জন। তাদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান (আনারস) কর্মী-সমর্থক নিয়ে ভোটের মাঠে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম হান্নান (হেলিকপ্টার) ভোটের মাঠে রয়েছেন বেশ আগে থেকেই। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নন। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কবিরুজ্জামান কবির (শালিক) উপজেলায় অনেকটা নতুন মুখ। তবুও তারপক্ষে স্থানীয় অনেক দাপুটে লোক কাজ করছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা. বেবী নাজনীন (কাপ-পিরিচ) ভোটের মাঠে ব্যাপক সময় দিচ্ছেন। অধ্যক্ষ আবু আব্দুলস্নাহেল কাফী (দোয়াত কলম), দীঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জাফর সাদিক (ঘোড়া) এবং যুবলীগ নেতা কাজী আনিসুর রহমান তৈমুর (মোটর সাইকেল) নির্বাচনী এলাকায় ভোট প্রার্থণা করছেন। গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন চেয়ারম্যান পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম তারা এবং শেখ ফরিদুজ্জামান। বর্তমানে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ৭ প্রার্থী।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীরা ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। নাওয়া-খাওয়া, ঘুম ও প্রচন্ড খরা উপেক্ষা করে প্রার্থীরা ছুটছেন হাট-বাজারে, চায়ের দোকানে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, ভোটারদের ঘরে ঘরে। এরই মধ্যে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা উপজেলা। দুপুর দুইটা বাজতেই শুরু হয়ে যাচ্ছে মাইকে প্রচার। নানান ধররেন সুরে, প্রার্থীদের প্রতীক ও নামে বানানো হয়েছে গান। সেই গান বাজিয়ে ভোট চাওয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কে হাসবেন বিজয়ের হাসি সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২১ মে পর্যন্ত।