আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আগামী ২১ মে নির্বাচন। ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রচার প্রচারনাই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। উৎসবমুখর পরিবেশে ৪ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিলেও প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন মকলেছুর রহমান। তাই নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে। আবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুঠিয়া উপজেলার প্রতিটি প্রার্থী এখন ব্যস্ত ভোটের মাঠ দখল নিতে। প্রার্থীরা প্রতিদিন কাটাচ্ছেন তাদের নিজস্ব প্রচার-প্রচারণা নিয়ে।
কে হবেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আর কে বা হবেন ভাইস ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেটা দেখার অপেক্ষায় উপজেলার জনসাধারণ। তবে ফলাফল যাই হোক না কেন চেয়ারম্যান পদে লড়াই হবে ত্রিমুখী এমনটা বলছে উপজেলার সাধারণ জনগণ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী না দেওয়ায় যে কেউ প্রার্থী হতে পারবে এই নির্বাচনে। তাই আওয়ামী লীগেরই হেভিওয়েট তিন প্রার্থী লড়ছেন এই নির্বাচনে। আ'লীগের সাবেক ছাত্র নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু (মোটর সাইকেল), জেলা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ (আনারস) এবং জেলা আ'লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আ'লীগেরই তিনজন প্রভাবশালী হেভিওয়েট প্রার্থী হওয়ায় জনসাধারণ ভোটারের মাঝে দেখা দিয়েছে ত্রিমুখী হাটাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা।
এদিকে পুঠিয়া উপজেলা আ'লীগে দুটি ভাগে বিভক্ত থাকায় জনসাধারণের ভোটও দুই ভাগে বিভক্ত হবে বলে সবার ধারণা। তৃণমূল ভোটারদের দাবি, সবসময় আমাদের গরিব দুঃখী মানুষের পাশে যাকে আমরা পাই তাকেই ভোট দেব। তবে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছে, যেহেতু এখানে আ'লীগের দুটি গুরুপ রয়েছে একটি বর্তমান প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা এবং আরেকটি গত জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনের ডামি বা স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান মধ্যে। তাই তাদের ধারণা যেহেতু আব্দুস সামাদ ও জিএম হিরা বাচ্চু বর্তমান এমপির অনুসারী এবং আহসানুল হক মাসুদ ওবায়দুর রহমানের পক্ষের প্রার্থী তাই ভোটের মাঠে তুমুল লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। অপর দিকে আহসানুল হক মাসুদ একক প্রার্থী হওয়ায় তিনিই ভোট যুদ্ধে জয়ী হবেন বলে ধারণা করছেন অনেকে।
পুঠিয়া উপজেলা আ'লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু কেন্দ্র থেকে কোনো প্রার্থী দেয়নি তাই তারা তাদের মতো নির্বাচন করতে পারেন। মন্ত্রী যেহেতু এলাকার এমপি, ওনার দিকনির্দেশনা এখনও আমরা পাইনি। ওনার দিকনির্দেশনা পেলে আমরা সরাসরি সমর্থন দেব।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। আপনারা দেখেছেন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সদ্য শেষ হওয়া পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন যেমন হয়েছে- এই নির্বাচনও তেমনি সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।